Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
NEP 2020

প্রযুক্তি শিক্ষার নতুন হাতিয়ার! জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কলম ধরলেন বিশেষজ্ঞ

কী ভাবে কোন ক্ষেত্রে কতটা জ্ঞান এবং কতটা দক্ষতার প্রয়োজন, সেই বিষয়টি যাচাই করতে প্রযুক্তির সাহায্য বিশেষ ভাবে প্রাসঙ্গিক।

প্রতীকী চিত্র।

কৌশলকুমার ভগত
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০১
Share: Save:

যে কোনও বিষয় শেখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়োগ শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে চলে। কী ভাবে কোন ক্ষেত্রে কতটা জ্ঞান এবং কতটা দক্ষতার প্রয়োজন, তা নির্ভর করে পড়ুয়াদের শিক্ষাগ্রহণের প্রতি আগ্রহ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদানের উপর। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযুক্তির সহায়তা বিশেষ ভাবে প্রাসঙ্গিক। এর অগ্রগতিকে হাতিয়ার করে জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ প্রয়োগ করা হয়েছে।

কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে বইয়ের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে কৃত্রিম মেধা, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) এবং অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর)-এর মতো বিষয়গুলি। তবে শুধুমাত্র পুথিঁগত বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রেই নয়, বাস্তবসম্মত জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এই বিষয়গুলি কতটা প্রাসঙ্গিক, তা একটু যাচাই করাও প্রয়োজন।

কৃত্রিম মেধার প্রতি সব ধরনের পড়ুয়াদের আগ্রহ, চাহিদা এবং জ্ঞান অর্জনের দক্ষতা যাচাই করা সম্ভব। সেই কারণেই জাতীয় শিক্ষা নীতিতে পাঠ্যক্রমকে আরও প্রযুক্তি নির্ভর করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে শুরু থেকেই ভবিষ্যতে পেশা জগতের চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার বিষয়টিও পড়ুয়াদের সচেতন করে তুলবে।

প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার আওতায় গতানুগতিক বিষয়ের পাশাপাশি, কর্মমুখী বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ থাকে। এতে, ভিন্ন মেধার পড়ুয়াদের চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও উচ্চ শিক্ষা এবং পেশা সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করতে পারবেন। এর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে, ভিআর এবং এআর-এর মতো বিষয়গুলি পাঠদানের প্রক্রিয়াকে আরও বেশি উন্নত করে তুলতে সক্ষম। বাস্তবের সঙ্গে ডিজিটাল তথ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে ক্লাসরুমে বসেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন বিষয় জানা সম্ভব। এই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই পড়ুয়াদের ক্রমাগত বদলাতে থাকা পেশাগত চাহিদার তথ্য জানানো যাবে।

এই কারণে জাতীয় শিক্ষানীতিতে পাঠদানের পদ্ধতিতে ভিআর এবং এআর-এর প্রয়োগে জোর দেওয়া হয়েছে। পছন্দের বিষয় নিয়ে অনলাইনে কিংবা অফলাইন পড়াশোনা, বিষয়ভিত্তিক কোর্সে অংশগ্রহণ এবং পেশাগত জীবন সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে উল্লিখিত প্রযুক্তির ব্যবহার নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলছে।

(লেখক ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়্গপুরের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। মতামত ব্যক্তিগত।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE