প্রতীকী ছবি
শ্লথ নয়। একেবারেই থমকে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ব্রিটেনের আর্থিক বৃদ্ধির ছবি ছিল এমনই। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ব্রেক্সিট এবং নির্বাচনের সাঁড়াশির পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির মন্থরতাও ব্রিটেনের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে গত বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে। পরবর্তী দু’বছরের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করেছে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড।
আমেরিকা ও চিনের মধ্যে শুল্ক-যুদ্ধের ধাক্কার বিরূপ প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। দুনিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকায় গত বছর বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ২.১%। যা ২০১৩ সালের পরে সবচেয়ে কম। অর্থনীতির চাকায় গতি আনতে নগদের জোগান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আঁচ পড়েছে ইউরো অঞ্চলের দেশগুলির উপরেও। ২০১৯ সালে তা কমে হয়েছে ১.২%। এক বছর আগে তা ছিল ১.৮%। ধাক্কা খেয়েছে জাপান, জার্মানির মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিও। ২০১৯ সালে জার্মানির অর্থনীতি এগিয়েছে ০.৬% হারে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ব্রিটেনের পরিসংখ্যান দফতরের মুখপাত্রের বিবৃতি, ‘‘২০১৯ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে কোনও বৃদ্ধি হয়নি। পরিষেবা এবং নির্মাণ ক্ষেত্রের বৃদ্ধি হলেও কমেছে উৎপাদন। বিশেষ করে ধাক্কা খেয়েছে গাড়ি শিল্প।’’ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই তিন মাসে উৎপাদন ০.৮% কমেছে। তবে সারা বছরের বৃদ্ধির হার (১.৪%) আগের বছরের তুলনায় (১.৩%) সামান্য বেড়েছে। ব্রিটেনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক আগামী দু’বছরে তাদের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করেছে। জানিয়েছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে তা হতে পারে যথাক্রমে ০.৮% এবং ১.৪%।
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের দাবি, ব্রেক্সিট সংক্রান্ত জটিলতা কাটানো গিয়েছে। এ বার দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধির পথে পা রাখবে দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, ইউরো অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত কঠিন দরাদরি এর পরে সামলাতে হবে ব্রিটেনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy