প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের আছড়ে পড়ার ধাক্কা সামলাতে মঙ্গলবার থেকে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। বিদ্যুৎ কর্তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা নিয়ে যা পূর্বাভাস, তাতে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে গাছ পড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে, তার ছিঁড়ে বিপুল ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তাঁদের দাবি, কলকাতা ও হাওড়াতেও পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সিইএসসি পরিষেবা এলাকার অনেকটা অংশে বিদ্যুতের লাইন ভূগর্ভস্থ হওয়ায় গ্রাহকদের সমস্যা কিছুটা কম হতে পারে।
বিদ্যুৎ দফতরের উদ্যোগে দিন-রাতের জন্য চালু হয়েছে বিশেষ হেল্প লাইন নম্বর (৭৪৪৯৩০০৮৪০ ও ৯৪৩৩৫৬৪১৮৪)। এ ছাড়া, আমপানের বিপর্যয় সংক্রান্ত খবর জানাতে ২১ মে পর্যন্ত বিদ্যুৎ ভবনে খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। তার নম্বর ০৩৩-২৩৫৯১৯০৫। সিইএসসি এলাকায় সমস্যা হলে গ্রাহকেরা ১৯১২, ৪৪০৩১৯১২, ১৮৬০-৫০০-১৯১২ নম্বরে ফোন করতে পারবেন।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বিপর্যয় মোকাবিলায় দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর-সহ কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম নিয়ে বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিইএসসি-ও জানিয়েছে, তাদের এলাকায় বাড়তি কর্মী ও মোবাইল ভ্যান তৈরি থাকছে। হাসপাতালেও বিকল্প বিদ্যুৎ লাইনের পাশাপাশি ও জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকবে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধায় জানান, ‘‘করোনার এই সময়ে হাসপাতালগুলিকে যাতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীন সংস্থাগুলি জানিয়েছে, বাংলা ও ওড়িশার বিদ্যুৎ বণ্টন ও সংবহন সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখছে তারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy