প্রতীকী ছবি
আমপানের দাপটের পর অন্তত তিন দিন পার হয়ে গেলেও ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় টেলিকম পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি এখনও। ফোন করতে বা ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে শনিবারও নাকাল হতে হয়েছে বহু গ্রাহককে। সমস্যার কথা মেনেও টেলিকম সংস্থাগুলির বক্তব্য, অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ না-এলেও, তারই মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় ফোনে কথা বলা যাচ্ছে। ইন্টারনেটও মিলছে কখনও সখনও। তবে তারযুক্ত ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পেতে আরও সময় লাগবে।
বিএসএনএল সূত্রের খবর, তাদের এলাকার প্রায় ৪০০টি বিটিএস এবং ২০০টি এক্সচেঞ্জে এ দিনও বিদ্যুৎ ছিল না। কলকাতা শাখার পাশাপাশি তাদের পশ্চিমবঙ্গ শাখাও দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের আর্জি জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। এরই মধ্যে গাছ কাটার সময় অপটিক্যাল ফাইবার কাটা পড়ায় সল্টলেকের ওয়েবেল ভবনে ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে দ্রুত তা মেরামত করে বিএসএনএল। তবে পরিস্থিতির নজরদারির জন্য ডট এ রাজ্যে যে টার্ম সেলকে দায়িত্ব দিয়েছে, তারা জানাতে চায়নি এখনও পর্যন্ত ক’টি বিটিএস স্বাভাবিক হয়েছে।
সূত্রের খবর, অন্য সংস্থার পরিকাঠামো ব্যবহারের (আইসিআর) যে অনুমতি টেলিকম দফতর (ডট) দিয়েছে, তার কিছুটা সুফল মিলছে। এ দিন বিকেলে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ভোডাফোন-আইডিয়া, এয়ারটেল ও রিলায়্যান্স জিয়োর প্রায় দু’লক্ষ গ্রাহক বিএসএনএলের পরিকাঠামো ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্যালকাটা টেলিফোনসের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল। তবে তাঁদেরও প্রায় ১৪ হাজার গ্রাহক ভোডাফোন-আইডিয়া এবং এয়ারটেলের টাওয়ার থেকে পরিষেবা পেয়েছেন।
ঝড় কবলিত এলাকার যে সমস্ত গ্রাহকের সিমে পর্যাপ্ত টাকা নেই, তাঁদের আরও দিন সাতেক পরিষেবা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ডট। বিএসএনএল এবং জিয়ো জানিয়েছে, তারা তা কার্যকর করেছে।
আরও পড়ুন: তড়িঘড়ি মাঠে নামতে হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy