‘এডেলওয়াইজ়’ মিউচুয়াল ফান্ডের সিইও রাধিকা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করা উচিত তাই নিয়ে চলা বিতর্কে এ বার অংশ নিলেন ‘এডেলওয়াইজ়’ মিউচুয়াল ফান্ডের সিইও রাধিকা গুপ্ত। কর্মজীবনের শুরুর দিকের ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর (এলঅ্যান্ডটি) চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যনের উল্টো কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
শনিবার, ১১ জানুয়ারি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) ‘পছন্দ, কঠোর পরিশ্রম এবং সুখ’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেন রাধিকা। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘চাকরি জীবনের শুরুতে প্রথম প্রজেক্টে চার মাস কাজ করেছিলাম। তখন সপ্তাহে একদিন ছুটি-সহ ১০০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছিল। অর্থাৎ দিনে প্রায় ১৮ ঘণ্টা। আমি তখন দিনের ৯০ শতাংশ সময়েই দুঃখে থাকতাম।’’
পোস্টের পরবর্তী অংশে নিজের চাকরি জীবনের আরও কিছু অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন রাধিকা। তাঁর দাবি, ‘‘জীবনের প্রথম প্রজেক্টের সময়ে অফিসের স্নানঘরে প্রায়ই কাঁদতাম। তখন দুপুর ২টোর আগে খেতে পারতাম না। শুধু মাত্র চকোলেট কেক খেয়ে কাটত আমার দিন। ফলে দু’বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। তখন দিনে ১০০ ঘণ্টা কাজ করতাম এটা সত্যি, কিন্তু আমার মধ্যে কোনও উৎপাদনশীলতা ছিল না।’’
এর পর অদক্ষ কর্মসংস্কৃতির কড়া সমালোচনা করেন ‘এডেলওয়াইজ়’ মিউচুয়াল ফান্ডের সিইও। ‘‘অনেক উন্নত দেশে ৮ থেকে ৪ ঘণ্টা কাজ করার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু সেই ঘণ্টাগুলি খুবই উৎপাদনশীল। কাজের জায়গায় কর্মীরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারছে কি না, সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন রাধিকা। এর জন্য প্রযুক্তি বিশেষত কৃত্রিম মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এ আই) ব্যবহারের দিকে বেশি করে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ কাজ করা উচিত বলে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন এলঅ্যান্ডটির চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। শুধু তা-ই নয়, কর্মীদের রবিবারও অফিস করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর পরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা থেকে শুরু করে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy