আইপিএলে আধিপত্য রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে)। মোট পাঁচ বার ট্রফি জিতেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। মাঠে হলুদ জার্সি ঝড় তোলার সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল লাভ করছে সরকারি জীবন বিমা সংস্থা এলআইসি। তবে এর সুবিধা গ্রাহক থেকে লগ্নিকারীরা কতটা পাবেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
বর্তমানে সিএসকেতে এলআইসির ৬.০৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজ়িটিতে করা বিনিয়োগ থেকে ৫২৯ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে দেশের অন্যতম জীবন বিমা সংস্থা।
২০০৮ সালে সিএসকে ছিল ইন্ডিয়া সিমেন্টসের মালিকানাধীনে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির ১.৮ কোটি শেয়ার কিনে নেয় এলআইসি। ওই সময়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সরকারি জীবন বিমা সংস্থাটির এই সিদ্ধান্ত।
কিন্তু, ২০১৪ সালে আইপিএলের নিয়মে আসে বড় বদল। ওই বছর থেকে ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলিকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার অনুমতি দেয় বিসিসিআই। ফলে রাতারাতি পাল্টে যায় সিএসকে। শুধু তা-ই নয়, ইন্ডিয়া সিমেন্টসের এলআইসির শেয়ার নবগঠিত সিএসকেতে চলে গিয়েছিল। এর পর থেকেই জীবন বিমা সংস্থাটির লাভের অঙ্ক বাড়তে শুরু করে।
বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে অবশ্য সিএসকে তালিকাভুক্ত নয়। কিন্তু একটা সময়ে সংস্থাটির স্টকের মূল্য ছিল ৩১ টাকা। ২০২৪ সালের মধ্যে এর শেয়ারের দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। ২০২২ সালে এটি ২২৩ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। পরে সেখান থেকে কিছুটা নেমে ১৯০-১৯৫ টাকায় ঘোরাফেরা করছে ওই স্টকের দাম।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সিএসকেতে এলআইসির শেয়ারের দাম প্রায় ছ’গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারি জীবন বিমা সংস্থাটি এখান থেকে মুনাফা করেছে হাজার কোটি টাকা। আগামী দিনে সেটা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।