প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা বাড়িয়ে একই দিনে এল দু’টি খারাপ খবর। বুধবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, এক দিকে গত মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫.৫৯%। অন্য দিকে ২০২০ সালের নভেম্বরে ১.৬% সঙ্কোচনের নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়েও, গত নভেম্বরে সে ভাবে মাথা তুলতে পারেনি শিল্পোৎপাদন। তার বৃদ্ধির হার মাত্র ১.৪%। এই পরিস্থিতিতে আজ চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৯.৫% থেকে কমিয়ে ৯.১% করেছে ইউবিএস সিকিউরিটিজ়। আর বিশ্ব ব্যাঙ্ক তা ধরে রেখেছে ৮.৩ শতাংশে।
এমনিতেই বিশ্ব জুড়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি। আমেরিকায় গত বছরে তা পৌঁছেছে ৭ শতাংশে। ১৯৮২ সালের পরে সর্বোচ্চ। এ দিকে, ভারতে গত মাসে ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, ডাল, তৈরি খাবারের মতো জিনিসের দাম বৃদ্ধির জেরে ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৪.০৫%। নভেম্বরে ছিল ১.৮৭%। তবে গত মাসে ভোজ্য তেল, আনাজ, ফলের দাম বৃদ্ধির হার কমেছে। দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও, একই ছবি দেখা গিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে। যা অর্থনীতির পক্ষে ভাল খবর বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সরবরাহে ধাক্কা লাগতে পারে। যার জেরে খাদ্যপণ্যের দাম আরও চড়ার আশঙ্কা থাকছে বলে ধারণা অনেকের। মূল্যায়ন ও উপদেষ্টা সংস্থাগুলির মতে, মূল্যবৃদ্ধি সহনশীলতার (৪%, +/-২%)
মধ্যে থাকায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক হয়তো এখনই সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটবে না। যদিও দামকে নিয়ন্ত্রণে আনা না-গেলে কী হবে, তাই নিয়ে উদ্বেগ থাকছে।
তা ছাড়া বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কেন্দ্র অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করলেও, শিল্পের শ্লথ গতি চিন্তার কারণ। কল-কারখানার উৎপাদন ও ভোগ্যপণ্য শিল্পের যথাক্রমে ০.৯% ও ০.৮% হারে বৃদ্ধি এবং মূলধনী পণ্য (যা অন্য পণ্য তৈরিতে কাজে লাগে) ও দীর্ঘ মেয়াদি ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন যথাক্রমে ৩.৭% ও ৫.৬% কমা আশঙ্কা জোরদার করছে। যা চাহিদার মলিন ছবিই তুলে ধরছে, মত তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy