ফাইল চিত্র।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) কো-লোকেশন কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে গত মাসের শেষে প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণকে তিন দিন ধরে জেরা করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় তাঁর করা আগাম জামিনের আর্জি শনিবার খারিজ করল দিল্লির এক আদালত। এর পরেই তাঁকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশেষত, যখন তদন্তকারী সংস্থাটির নিযুক্ত ফরেন্সিক মনস্তাত্বিক নিজের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এই মামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর এড়ানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে চিত্রার মধ্যে এবং যে কোনও প্রশ্নের ক্ষেত্রেই তিনি উত্তর অধস্তন কর্মীরা জানে বলে দাবি করেছেন, তখন সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হচ্ছে ক্রমশ।
আজ শুনানিতে দিল্লির এক আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব আগরওয়াল এই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই ও বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিকেও ভর্ৎসনা করেছেন। গত চার বছর ধরে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন ঠিকমতো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে সিবিআইকে প্রশ্ন করেছেন তিনি। ফলে অভিযুক্তেরা মানুষের পয়সার মজা করে দিন কাটিয়েছেন। সেই সঙ্গে কো-লোকেশন কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক হওয়া সত্ত্বেও সেবি নরম মনোভাব নিয়েছিল বলেও তাঁর পর্যবেক্ষণ।
বিচারপতির মতে, এই কেলেঙ্কারিতে মানুষের ক্ষতি হয়েছে। এর সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও জড়িয়ে। ফলে তাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আর এ জন্যই আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় জামিনের বিষয়টি অন্যান্য মামলার থেকে আলাদা বলে জানান তিনি। আগরওয়াল বলেন, চিত্রার দেশ ছাড়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু যেহেতু এনএসই-র এমডি-সিইও পদে ছিলেন তিনি, তাই তথ্য লোপাট এবং সাক্ষীকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা বেশি। এই সব কারণেই আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, যে ভাবে চিত্রা, সেবি এবং সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি এবং এই মামলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন, তাতে প্রাক্তন সিইও-র গ্রেফতারির সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। প্রাক্তন সিএফও আনন্দ সুব্রহ্মণ্যনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আনন্দই হিমালয়ের সাধু কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। যাঁর কথা সেবি-র রিপোর্টে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy