প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের জেরে নজিরবিহীন ভরাডুবি দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রে। ৩২ মাসে সর্বোচ্চ পতন এই ক্ষেত্রের সূচকে। অন্য দিকে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেকর্ড পতনের মুখে পড়েছে বিক্রির অর্ডার। এই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায়। এক মাসের এই সমীক্ষায় করুণ চিত্র ধরা পড়েছে রফতানির অর্ডারেও। পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মী ছাঁটাই নিয়ে সমীক্ষার ফলাফলেও উদ্বেগ নানা মহলে।
শিল্পক্ষেত্রে নানা ধরনের সমীক্ষা চালায় ‘আইএইচএস মার্কিট ইন্ডিয়া’ নামে একটি সমীক্ষা। লকডাউনের পর গত এক মাসে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে উৎপাদন ক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে এই সংস্থা। উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার মাপতে ব্যবহার করা হয় ‘পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স’ বা পিএমআই। সোমবার আইএইচএস মার্কিটের সমীক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের আগে যেখানে পিএমআই ছিল ৫১.৮, এপ্রিলে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৭.৪।
পিএমআই ৫০ এর উপরে থাকলে তা বৃদ্ধির সূচক। আর তার নীচে নামলে সংকোচন। গত ৩২ মাসে এই সূচক এক বারও ৫০-এর নীচে নামেনি। ১৫ বছর আগে থেকে তথ্য সংগ্রহ ও সমীক্ষা শুরু করেছিল আইএইচএস মার্কিট। এই সমীক্ষার পর তাদের দাবি, দেড় শতকের ইতিহাসে এত খাড়া পতন বা সংকোচন এই ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: দুর্বল নজরদারি, টেস্ট কম, মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ, রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রীয় দলের
শিল্প-উৎপাদন ক্ষেত্রে এই ব্যাপক সংকোচনের জেরে চাহিদাতেও তার প্রভাব পড়েছে। আড়াই বছরে এই প্রথম নতুন অর্ডার-এ পতন হয়েছে। সমীক্ষার ইতিহাসেও এক লাফে এতটা পতন আগে কখনও দেখা যায়নি। ভয়াবহ আকারে পতন হয়েছে রফতানিতেও।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় এক লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হতে পারে, আশঙ্কা ট্রাম্পের
আইএইচএস-এর অর্থনীতিবিদ ইলিয়ক কের বলেছেন, ‘‘ভারতে মার্চে শিল্পক্ষেত্রে তেমন সমস্যা না হলেও এপ্রিলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি প্রভাব ফেলেছে।’’ সমীক্ষকরা মনে করেন, করোনাভাইরাসের মোকাবিলার জন্য যে লকডাউন জারি হয়েছে, সেই কারণেই এ ভাবে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে উৎপাদন শিল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy