—প্রতীকী ছবি।
কৃষি ক্ষেত্র এবং ড্রাইভিং – আগামী দিনে এই দুই জায়গায় বাড়বে কাজের সুযোগ। অন্য দিকে উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমবে হিসাবরক্ষক (ক্যাশিয়ার) এবং টিকিট ক্লার্ক পদের চাকরি। বুধবার, ৮ জানুয়ারি ‘চাকরির ভবিষ্যৎ-২০২৫’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লুইএফ)। রিপোর্টকে কেন্দ্র করে দুনিয়া জুড়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭ কোটি নতুন চাকরি তৈরি হবে। পাশাপাশি নিশ্চিহ্ন হবে ৯ কোটি ২০ লক্ষ চাকরি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে নতুন চাকরির সংখ্যা দাঁড়াবে ৭ কোটি ৮০ লক্ষ।
চলতি বছরের ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সুইৎজ়ারল্যান্ডের ডাভোসে বসবে ডব্লুইএফের বার্ষিক সভা। তার আগেই ‘চাকরির ভবিষ্যত-২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করল এই আন্তর্জাতিক সংগঠন। ডব্লুইএফের অনুমান, ২০৩০ সালের মধ্যে চাকরির বিলুপ্তির পরিমাণ কাজের বাজারের ২২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
চাকরির বাজারের এ হেন পরিবর্তনের নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা আন্তর্জাতিক সংগঠনটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হল, প্রযুক্তিগত উন্নতি, জনসংখ্যার পরিবর্তন, ভূ-অর্থনৈতিক চাপ এবং বিশ্ব জুড়ে আর্থিক অবস্থার আমূল বদল।
আগামী দিনের কাজের বাজারের বিষয়টি বুঝতে হাজারের বেশি সংস্থার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। আন্তর্জাতিক সংগঠনটির দাবি, দুনিয়া জুড়েই দক্ষ শ্রমিকের অভাব হচ্ছে। এর প্রভাবে কমছে কোম্পানির লভ্যাংশ। নিয়োগকর্তাদের ৬৩ শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছেন। আর তাই চাকরির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পদে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।
ডব্লুইএফ জানিয়েছে, আগামী দিনে কাজের বাজারে চাহিদা বাড়বে কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই)। গুরুত্ব পাবে সাইবার সিকিউরিটি। তবে যে সব জায়গায় সৃজনশীল চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে দক্ষ কর্মীর প্রয়োজনীয়তা ফুরবে, সেটা ভাবা ভুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy