ছবি: এএফপি
মন্দার আতঙ্কে কাঁপছে সারা বিশ্ব। ২০০৯ সালের পরে আবার। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনীতি ও সমাজ বিষয়ক দফতর জানাল, করোনার প্রভাবে ২০২০ সালে বিশ্বের জিডিপি সরাসরি ০.৯% কমতে পারে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে যদি বিভিন্ন দেশের আর্থিক কার্যকলাপ আরও বেশি দিন বন্ধ রাখতে হয় ও তার জন্য আরও বেশি ত্রাণের ব্যবস্থা করা না-যায়। একই দিনে ইক্রা, মুডি’জ়ের মতো বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থা জানিয়েছে, এই অবস্থার প্রভাব এড়াতে পারবে না ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রও।
করোনা থেকে বাঁচতে সীমান্ত বন্ধ করেছে ১০০টিরও বেশি দেশ। ফলে আমদানি-রফতানি কার্যত বন্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জ বলছে, এই অবস্থা থেকে কত দিনে বেরোনো যাবে, তা নির্ভর করছে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ত্রাণের উপরে।
আবার উত্তর আমেরিকা, ইউরো অঞ্চলে রফতানির উপরে অনেকটাই নির্ভর করে উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতি। অথচ, উন্নত দেশগুলিতেও বাড়ছে বেকারত্ব। আমেরিকায় ত্রাণের জন্য যে হারে আবেদন আসছে, তা অনেকের কাছেই বিস্ময়ের।
আতঙ্কে বিশ্ব
---------------
• রাষ্ট্রপুঞ্জের পূর্বাভাস, চলতি বছরে বিশ্বে বৃদ্ধির হার ০.৯% কমতে পারে।
• আমেরিকার দু’সপ্তাহে প্রায় ১ কোটি মানুষ বেকারত্ব ভাতার আর্জি জানিয়েছেন।
• কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়া বা অবসরের প্রকল্প এনেছে বোয়িং।
• ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ প্রায় ৩০,০০০ কর্মীকে সাময়িক ভাবে ছাঁটাই করেছে।
• স্পেনে মার্চে কাজ হারানোর কথা জানিয়েছেন ৩.০২ লক্ষ।
• কর্মহীনদের জন্য ১০,০০০ কোটি ইউরোর তহবিল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এই অবস্থায় ভারতকেও আশঙ্কার কথা শুনিয়ে মূল্যায়ন সংস্থাগুলি বলেছে, পণ্য উৎপাদন-সহ বহু কাজ বন্ধ থাকায় অনেক সংস্থার আয় ধাক্কা খেতে পারে। ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসিগুলির কাঁধে চাপতে পারে নতুন করে তৈরি হওয়া অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা। তাই ভারতের ব্যাঙ্কিং শিল্পের মূল্যায়ন কমিয়ে ঋণাত্মক করেছে মুডি’জ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy