প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের আবাসন ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে আনতে রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি (রেরা) আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু সেই কর্তৃপক্ষের পদে এখনও কোনও নিয়োগ হয়নি। এই অভিযোগ করে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আবাসন ক্রেতাদের সংগঠন ফোরাম ফর পিপলস কালেকটিভ এফর্ট (এফপিসিই)। তাদের বক্তব্য, সংস্থা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারলে কী পদক্ষেপ করতে হবে, সে ব্যাপারে ক্রেতারা অন্ধকারে।
২০১৬ সালে সংসদে রেরা বিল পাশ হয়েছিল। পরের বছর তা সারা দেশে কার্যকর হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার পৃথক ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি অ্যাক্ট (ডব্লিউবি-হিরা) চালু করে। এর পর এফপিসিই-র আবেদনের ভিত্তিতে গত বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টে সেই আইনকে অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দেয়। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই রায়ের পর রেরা চালুর প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য। গত বছরের জুলাই এবং অগস্টে তারা সেই কেন্দ্রীয় আইনের আওতায় থাকা নিয়মগুলির বিজ্ঞপ্তি জারি করে। একই সঙ্গে জারি হয় সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং আপিল ট্রাইবুনাল গঠনের বিজ্ঞপ্তিও। এফপিসিই-র প্রেসিডেন্ট অভয় উপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যে ওই নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এবং ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদে এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগ হয়নি। ফাঁকা রয়েছে সমস্ত সদস্যপদও। এমনকি, কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটও তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
উপাধ্যায় বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের আবাসন ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনক এবং অদ্ভুত। হিরাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হয়েছে, ফলে তার কোনও অস্তিত্ব নেই। আবার এক বছর আগে রেরা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেটিও এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।’’ তিনি জানান, যে সমস্ত ক্রেতা হিরার আওতায় আবাসন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা এখন পুরোপুরি অন্ধকারে। রেরা কার্যকর হলে তাঁদের ওই সমস্ত অভিযোগ সরাসরি সেখানে চলে যাবে নাকি তখন নতুন করে অভিযোগ দায়ের করতে হবে, তা জানেন না তাঁরা। আবার যে সমস্ত ক্রেতা নতুন অভিযোগ দায়ের করতে চাইছেন, তাঁরা জানেন না কোথায় যেতে হবে।
রাজ্যে রাজ্যে রেরা চালুর বিষয়টি তদারকি করে সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজ়রি কাউন্সিল (সিএসি)। এফপিসিই-র দাবি, গত এপ্রিলে এক বৈঠকে সিএসি ঠিক করে পশ্চিমবঙ্গ ও তেলঙ্গানায় ওই আইন চালুর বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে সরকারি প্রতিনিধি, আবাসন সংস্থা, ক্রেতাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হবে। কিন্তু তা-ও তৈরি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy