আদানি কাণ্ডে মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়িয়ে চলেছে বিরোধীরা। — ফাইল চিত্র।
আদানি কাণ্ডে মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়িয়ে চলেছে বিরোধীরা। এরই মধ্যে বুধবার ফের তা নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি কী রিপোর্ট পেশ করে, সে দিকে তাদের নজর থাকবে। কিন্তু ওই কমিটির কার্যকলাপ নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সত্যিটা সামনে আনতে হলে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের খবর, দিন কয়েক আগে তিনটি সংস্থার ডিরেক্টরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি। সূত্রের দাবি, অস্ট্রেলিয়ায় আদানিদের কারমাইকেল খনি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংস্থাগুলির। এ দিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, বিদেশের বিভিন্ন ভুঁইফোড় সংস্থার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল বিনোদের বিরুদ্ধে। একই ভাবে অস্ট্রেলিয়ার সংস্থা অ্যাবট পয়েন্ট পোর্ট হোল্ডিংসের নিয়ন্ত্রণও রয়েছে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস এবং কেম্যান আইল্যান্ডসে বিনোদের পরিচালিত সংস্থার হাতে। আবার লগ্নিকারীদের থেকে আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক দুরাবস্থা ঢাকার জন্য এই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই গোষ্ঠীর বিপুল ঋণের বোঝা কমানো হয়েছে। আদতে এই সমস্ত সংস্থাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রমেশের আরও অভিযোগ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিনোদের তিন সংস্থা অস্ট্রেলিয়ায় গৌতম আদানির খনি প্রকল্পকে ঋণ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার শেয়ারে লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা এবং লেনদেনকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, হিসাবের খাতায় গরমিল করে এবং বেআইনি উপায়ে শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থা। তার পরেই সেগুলির শেয়ারে ধস নামে। লগ্নিকারীদের আস্থা ফেরানোর জন্য ঋণের বোঝা কমিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে আদানিরা। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বিরোধীদের তির, হাত টাকা থাকলে ঋণ নেওয়া হল কেন? কেনই বা ক্ষতির মুখে ফেলা হল সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের?
এ দিন কংগ্রেসের অভিযোগ, আমিরশাহিতে বিনোদের সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমদানিকৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বিলের অঙ্ক কম দেখিয়ে দেশ থেকে ৫৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়েছে। তা ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সের নজরে এসেছে। রমেশ বলেন, কমিটির রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তাদের হাত-পা বাঁধা। যেমন, আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়ার জন্য চুক্তি করতে স্টেট ব্যাঙ্ককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাপ দিয়েছিলেন কি না, সে ব্যাপারে ওই কমিটি তদন্ত করতে পারবে না। আদানি গোষ্ঠীতে হিসাব বহির্ভুত ২০,০০০ কোটি টাকা লগ্নির উৎস কী, তা-ও খুঁজে বার করা সম্ভব নয় কমিটির পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy