Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Unemployment

বেকারত্বের প্রশ্নে বহাল বাদানুবাদ

বাজেটে মূলধনী খরচ বৃদ্ধি, পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্য, দূষণহীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করায় জোর এবং আর্থিক বাজারকে শক্তপোক্ত করে তোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে আসলে কর্মসংস্থানের রাস্তাই চওড়া করেছে তারা।

কর্মসংস্থান নিয়ে বাদানুবাদে শাসক এবং বিরোধী।

কর্মসংস্থান নিয়ে বাদানুবাদে শাসক এবং বিরোধী। প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৭
Share: Save:

দেশে চড়া বেকারত্ব নিয়ে বহু দিন ধরেই বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী সরকার। এ মাসের শুরুতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করার পরেও কংগ্রেস অভিযোগ তোলে, কর্মসংস্থান তৈরির কোনও রূপরেখা নেই তাতে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ সংশয় প্রকাশ করেন একশো দিনের কাজের মতো রোজগার তৈরির প্রকল্পে সরকারের খরচ কমানো নিয়েও। এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রাক্তন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর ডি সুব্বারাও। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আগামী অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) বাজেটে ‘যথেষ্ট জোর’ দেওয়া হয়নি কাজ তৈরিতে। তা বেকারত্বের সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তাঁর আশা, সরকার আর্থিক বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ায় তার হাত ধরে যদি কর্মসংস্থান বাড়ে।

যদিও এ দিনই প্রকাশিত অর্থনীতির মাসিক পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক দাবি করেছে উল্টোটা। বলেছে, বাজেটে মূলধনী খরচ বৃদ্ধি, পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্য, দূষণহীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করায় জোর এবং আর্থিক বাজারকে শক্তপোক্ত করে তোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে আসলে কর্মসংস্থানের রাস্তাই চওড়া করেছে তারা। সরকারের আশা, এই সবে ভর করে কাজ তৈরি হবে ও বৃদ্ধির চাকায় আরও গতি আসবে।

বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির মসনদে বসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে কোভিডের আগেই ৪৫ বছরের সর্বোচ্চ বেকারত্ব দেখেছিল ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই ৬.১% বেকারত্বকে এখন অনেক ‘কম’ মনে হয়। কারণ বহু দিন ধরে তা আরও বেশি চড়া। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৩০%। শহরে ১০% ছাড়িয়ে যায়, গ্রামে ৭.৪৪%।

এ দিন সুব্বারাও-ও বলেছেন, কোভিডের আগেই ভারতে বেকারত্বের ছবিটা বেশ খারাপ ছিল। অতিমারির জেরে তা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বাজেটে কর্মসংস্থানে যথেষ্ট জোর না দেওয়ায় আমি হতাশ হয়েছিলাম...আমাদের দরকার কাজ তৈরির সহায়ক আর্থিক বৃদ্ধি।’’ তাঁর আক্ষেপ, প্রতি মাসে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ কাজের বাজারে যোগ দেন। কিন্তু দেশ তার অর্ধেক কাজও তৈরি করতে পারছে না। ফলে বেকারত্বের সমস্যা শুধু বাড়ছে না, তা সঙ্কটের পর্যায় পৌঁছে যাচ্ছে।

কর্মসংস্থান নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিলেও, মন্ত্রকের পর্যালোচনায় অবশ্য ফের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্ব বাজারের চড়া সুদ চাহিদাকে দুর্বল করায় অক্টোবর-ডিসেম্বরে সার্বিক ভাবে অর্থনীতির কিছু সূচক শ্লথ হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy