কোভিড এবং তার পরে মূল্যবৃদ্ধি গ্রামাঞ্চলের চাহিদা কেড়েছে। ফাইল চিত্র।
গত অর্থবর্ষ (২০২২-২৩) মোটের উপর ভাল গিয়েছে গাড়ি শিল্পের। দেশের গাড়ি বিপণিগুলি (শো-রুম) থেকে তার আগের অর্থবর্ষের (২০২১-২২) তুলনায় বিক্রি বেড়েছে সংস্থাগুলির। বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডা সে কথা জানালেও, পুরোপুরি নিশ্চিন্ত করতে পারেনি। কারণ তাদের হিসাবে স্পষ্ট, সব ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে ছবিটা একই রকম উজ্জ্বল নয়। যেমন, দু-চাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কোভিড এবং তার পরে মূল্যবৃদ্ধি গ্রামাঞ্চলের চাহিদা কেড়েছে। এর আগে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি কমতে দেখা গিয়েছে সেখানে। এখন দু’চাকার বিক্রি কোভিড পর্বকে ছাপিয়ে সে ভাবে বাড়ছে না একই কারণে। গ্রামীণ বাজারে চাহিদা ঝিমিয়ে, অথচ এখানেই এই ধরনের গাড়ি বিকোয় সব থেকে বেশি। যা এই মুহূর্তে শিল্পের সব থেকে বড় মাথাব্যথার কারণ।
ফাডার সমীক্ষা বলছে, গত অর্থবর্ষে বিপণি থেকে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি এখনও সাত বছরে সর্বনিম্ন। ট্রাক্টরের বিক্রি বেড়েছে, তবে আহামরি নয়। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলতি অর্থবর্ষেও গ্রামাঞ্চলের গাড়ি ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কায় তারা।
ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়া জানান, ২০২২ সালের চেয়ে এ বছরের মার্চে দোকান থেকে মোট গাড়ি (যাত্রী, দু’চাকা, তিন চাকা, বাণিজ্যিক, ট্র্যাক্টর) বিক্রি ১৪% বেড়েছে। তবে ট্র্যাক্টরের বিক্রি বৃদ্ধির হার ছিল সর্বনিম্ন, ৪%। দু’চাকার বিক্রি ১২% বাড়লেও, প্রাক্-করোনা পর্বের একই মাসের তুলনায় ছিল ৯% কম। গোটা অর্থবর্ষে আগের বারের থেকে মোট বিক্রি বেড়েছে ২১%। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ট্র্যাক্টরের বিক্রি বৃদ্ধি সর্বনিম্ন (৮%)। ১.৫৯ কোটি দু’চাকা বিকিয়েছে, যা সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। গ্রামীণ ভারতই এর মূল বাজার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যাত্রিবাহীর বিক্রিবাটা বেড়েছে। যদিও কম দামির বাজার যে চাপে ছিল,তা স্পষ্ট।
চলতি অর্থবর্ষ নিয়ে ফাডার ইঙ্গিত, গত অর্থবর্ষের উঁচু ভিত, চড়া মূল্যবৃদ্ধির চাপ, গাড়ির দাম বৃদ্ধি ইত্যাদির জেরে বৃদ্ধির হার হয়তো ১০ শতাংশের কম হবে। বর্ষা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কাও আছে। যা ফের গ্রামীণ অর্থনীতিকে ধাক্কা দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy