কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অন্তত নাগেশ্বরন। ফাইল চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষে ৬.৮%। পরের অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে ৬.১%। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)। কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অন্তত নাগেশ্বরনের অবশ্য দাবি, আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ওই পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি। তাঁর যুক্তি, বিগত সময়ে সরকার যে খরচ সাশ্রয় করেছে, তা আগামী দিনে পুঁজি বিনিয়োগে কাজে লাগবে।
শুধু আইএমএফ নয়। চলতি অর্থবর্ষের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৬.৫% করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্কও। আগামী বছরে তা আরও কম। নাগেশ্বরন অবশ্য বলছেন, ‘‘আমার মনে হয়, আগামী বছরগুলিতে বৃদ্ধির হার ওই সমস্ত পূর্বাভাসের তুলনায় কিছুটা বেশিই হবে। গত এক দশক ধরে যে ব্যয়সঙ্কোচন হয়েছে তা মূলধনী বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।’’ উদাহারণ হিসেবে তিনি জানান, ডিজিটাল পরিকাঠামো যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে দেশের অনেক সম্পদকেই অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। তা-ও বৃদ্ধির হারকে মাথা তুলতে সাহায্য করবে। সে ক্ষেত্রে তা ৬ শতাংশের উপরে আরও ৫০-৮০ বেসিস পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জন্য কেন্দ্রের আর্থিক নীতি এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির বোঝাপড়া ও ভারসাম্যে জোর দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, সোমবার দেশের আর্থিক পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় পর্ষদ।
এ দিন সরকারি তথ্যে আরও জানানো হয়েছে যে, এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে রাজকোষ ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬,১৯,৮৪৯ কোটি টাকা। যা গোটা অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রার ৩৭.৩%। আবার কর-সহ সরকারের আয় ছুঁয়ে ফেলেছে ১২.০৩ লক্ষ কোটি টাকা, বাজেট লক্ষ্যমাত্রার ৫২.৭%। একে যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছেন নাগেশ্বরন। তাঁর বক্তব্য, জিডিপির নিরিখে ঋণের মাত্রা এখনও উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছয়নি। কর সংগ্রহের অবস্থা ভাল। রয়েছে সরকারি সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আয় বৃদ্ধির পথও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy