Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Tea Board

টি বোর্ড রাখার যুক্তি পেশ বাণিজ্য মন্ত্রকে

প্রসঙ্গত, অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে টি বোর্ড মিশলে কলকাতার দফতর উঠে যেতে পারে বলে কর্মীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও আশঙ্কা ছড়ায়।

কেন্দ্রীয় চা পর্ষদ।

কেন্দ্রীয় চা পর্ষদ। ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০১
Share: Save:

কেন্দ্র চা পর্ষদকে (টি বোর্ড) অন্যান্য পানীয় বা পণ্যের পর্ষদের (কফি, রবার, মশলা ইত্যাদির বোর্ড) সঙ্গে মেশাতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। মোদী সরকারের তরফে এই সংযুক্তির পক্ষে একাধিক বার সওয়াল করা হলেও, তা বাস্তবায়িত হয়নি এখনও। এই অবস্থায় টি বোর্ডের দাবি, চা শিল্পের উন্নয়নে তাদের আলাদা অস্তিত্ব জরুরি এবং প্রাসঙ্গিক। সেই যুক্তি বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে তুলে ধরেছেন বোর্ডের কর্তারা।

বৃহস্পতিবার ক্যালকাটা টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (সিটিটিএ) বার্ষিক সভায় বোর্ডের চেয়ারম্যান সৌরভ পাহাড়ি জানান, দিল্লিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের (বাণিজ্য মন্ত্রকের) বৈঠকে চা পর্ষদের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। কেন তাদের আলাদা ভাবে বহাল রাখা প্রয়োজন, তা বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর দাবি, এটি তুলে দেওয়ার কোনও কারণ নেই।

পরে সৌরভ বলেন, ‘‘টি বোর্ডের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। কারণ, তারা বরাবর চা শিল্পের সহায়ক, পরামর্শদাতা ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। আগামী দিনে তাই এটিকে আরও জোরদার করা দরকার।’’ এই দিনের সভায় বোর্ডের চেয়ারম্যান শিল্প-কর্তাদের স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে শিল্পের ভর্তুকি পাওয়ার একমাত্র মাপকাঠি হবে চায়ের গুণগত মান।

প্রসঙ্গত, অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে টি বোর্ড মিশলে কলকাতার দফতর উঠে যেতে পারে বলে কর্মীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও আশঙ্কা ছড়ায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তবে এ নিয়েবিতর্ক চললেও, সেই প্রক্রিয়া শুরুর আভাস সে ভাবে মেলেনি। বরং সম্প্রতি টি বোর্ড বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে চা শিল্পের উন্নয়নে পাঁচ বছরে একগুচ্ছ কর্মসূচির জন্য ১০০০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

এ দিকে, চায়ের নতুন নিলাম পদ্ধতি (ভারত অকশন) নিয়ে শিল্পের একাংশের (মূলত অসম, পশ্চিমবঙ্গ) আপত্তি রয়েছে। সিটিটিএ-র বিদায়ী চেয়ারম্যান অনীশ ভনশালীর বক্তব্য, দক্ষিণ ভারতের (যেখানে নিলামের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে) সঙ্গে উত্তরে (অসম, পশ্চিমবঙ্গ) চায়ের বাজারের পরিস্থিতি আলাদা। তাই এখানে নিলামের নতুন পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। তার উপরে সামনাসামনি নিলামের বদলে বছর কয়েক আগে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর মধ্যেই আর একটি নতুন পদ্ধতি আনার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy