—প্রতীকী চিত্র।
জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য আর কৃষক বিক্ষোভ— লোকসভা ভোটে বিজেপির ফল প্রত্যাশিত না হওয়ার পিছনে এই দু’টি কারণই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে কৃষক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হরিয়ানায় ভোট চলে এসেছে। বছরের শেষ দিকে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। বছর ঘুরলে বিহারে। সেই সঙ্গে উৎসবের মরসুমে দাম বাড়তে না দেওয়ার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। এই প্রেক্ষাপটে কৃষকদের শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পিএম-আশা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে। যা কৃষকদের শস্যের ভাল দাম পাওয়ার পাশাপাশি, খোলা বাজারেও নিত্যব্যবহৃত খাদ্যপণ্যের দামের অস্থিরতা কমাবে। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় গমের বরাদ্দও বাড়ানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।
এ দিন পিএম-আশা প্রকল্প ২০২৫-২৬ পর্ষন্ত নির্বিঘ্ন রাখার জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কৃষকদের মূল্য নিশ্চয়তা প্রকল্প এবং মূল্য স্থিতিশীলতা তহবিলকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। প্রথমটিতে ডাল, তৈলবীজ, নারকেলের মতো কিছু শস্য এমএসপিতে কেনে সরকার। দ্বিতীয়টিতে ডাল, পেঁয়াজ-সহ কিছু খাদ্যপণ্যের সরকারি গুদামে যথেষ্ট মজুত নিশ্চিত করা হয়। যাতে দামের অস্থিরতার সময়ে খোলা বাজারে তা ছেড়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ দিন প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় গমের ভাগ ৩৫ লক্ষ টন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাদের আশা, এই পদক্ষেপও গমের দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। ২০২৪-২৫ রবি মরসুমে রাসায়নিক সারের জন্য ২৪,৪৭৪.৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকির বরাদ্দও চূড়ান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy