বকেয়া ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে দেউলিয়া বিধির ব্যর্থতা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। —ফাইল চিত্র।
বকেয়া ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে দেউলিয়া বিধির ব্যর্থতা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলল ওই আইনের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও। মোট বকেয়ার তুলনায় দেউলিয়া বিধির (আইবিসি) মাধ্যমে তা আদায়ের পরিমাণ অতি সামান্য জানিয়ে তাদের প্রশ্ন, এটি রুগ্ণ শিল্পকে চাঙ্গা করতে চালু করা হয়েছে, নাকি ‘সংগঠিত ভাবে টাকা লুট’ করার আরও একটি রাস্তা খুলে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল? জলের দরে সংস্থা বিক্রির ব্যবস্থা করে ‘পুঁজিপতি বন্ধুদের’ একচেটিয়া ব্যবসা করার সুবিধা করে দিতে এই বিধিকে অস্ত্র করা হয়েছে কি না, সেই সন্দেহও প্রকাশ করেছে তারা। সে ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীও আইবিসি-র সুবিধা নিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে দলের মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেন, ২০১৬ সালে চালু আইবিসি-কে বিরাট আর্থিক সংস্কার বলে ঢাক পিটিয়েছিল কেন্দ্র। দাবি করেছিল, এতে বকেয়া ঋণ আদায় এবং রুগ্ণ শিল্পকে চাঙ্গা করার ছবিটাই বদলে যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এটি ১৯৮৫-র সিকা আইন ও বিআইএফআর-এর থেকে অনেক খারাপ। তাঁর দাবি, গত অর্থবর্ষের শেষেমোট বকেয়া ঋণের দাবির তুলনায় তা আদায় (পূর্বেকার সমস্ত আদায় ধরে) মাত্র ১৭.৬%। অথচ এ ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মে আদায় হয়েছিল ২৫%।
বল্লভের অভিযোগ, বলা হয়েছিল আইবিসির উদ্দেশ্য বকেয়া আদায়ের পাশাপাশি রূগণ সংস্থাকে চাঙ্গা করা। কিন্তু দেউলিয়া আদালতে যাওয়া সংস্থাগুলির মধ্যে ৭৫% গোটানো হয়েছে ও ঋণদাতারা ফেরত পেয়েছে বকেয়া ঋণের ৫.৬% (২০২২-২৩পর্যন্ত)। হাতবদলের মাধ্যমে যে ২৫% চাঙ্গা হয়েছে, সেগুলিতে ৩১.৮% আদায় হয়েছে। কজ গিয়েছে বহু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy