—প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর আগের থেকে অনেকটা সস্তা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ছিল ৭৪ ডলার। কিন্তু তার পরেও দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম না কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক দামের অস্থিরতাকেই দায়ী করলেন তেল মন্ত্রকের শীর্ষপদস্থ আধিকারিক। পরিবহণ জ্বালানিতে সুরাহার আশায় যখন হা-পিত্যেশ করে বসে সাধারণ মানুষ, তখন তাঁর ব্যাখ্যা— বিশ্ব বাজারের দাম এক দিন নামছে তো পরের দিনই উঠছে। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির খরচ কমলেও পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানো যাচ্ছে না। তবে মহারাষ্ট্রে ভোটের আগে সেই সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা যেমন তিনি বলতে পারেননি, তেমনই জল্পনা উড়িয়েও দেননি। নভেম্বরে মহারাষ্ট্রে ভোট হতে পারে।
সূত্র বলছে, সম্প্রতি ৭০ ডলারে নেমেছিল ব্রেন্ট। এখন ফের ৭৪ ডলার হলেও বিপুল মুনাফা করছে তেল সংস্থাগুলি। কারণ, আমদানি খরচ কমেছে। কিন্তু দেশে তেলের দাম চড়া। বহু জায়গায় পেট্রলের লিটার ১০০ টাকার বেশি। ডিজ়েলও ৯০ টাকার উপরে। একাংশের অভিযোগ, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বাড়লে ভারতেও বাড়ে। কিন্তু সস্তা হওয়ার সুবিধা মেলে না। সামান্য সুরাহা ঘরে তোলা যায় সামনে ভোট থাকলে। যে কারণে দু’বছরের বেশি পেট্রল-ডিজ়েলের দাম থমকে থাকলেও, মাঝে লিটারে ২ টাকা কমেছিল শুধু লোকসভা ভোটের আগে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সুরাহা পেতে অনেকেই তাই বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের দিকে তাকিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য, বিশ্ব বাজারে তেলের দামে অস্থিরতা না কমলে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির (আইওসি, বিপিসিএল, এইচপিসিএল) তেলের দৈনিক দাম সংশোধনের পুরনো পথে ফেরার সম্ভাবনা কম। যা বন্ধ হয়েছিল ২০২১-এর শেষের দিকে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে কি কমবে দাম? তাঁর জবাব, ‘‘এটা খুব ভাল প্রশ্ন, কিন্তু আমি বলতে পারব না।’’
গত সপ্তাহে ব্রোকারেজ সংস্থা এমকে গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস বলেছিল, তেল সংস্থাগুলি পেট্রল-ডিজ়েলের দাম ছাঁটতে পারে নভেম্বরে মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে। সরকারি ওই আধিকারিক বলছেন, ‘‘আমরা জানি বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের মধ্যে দাঁড়িয়ে দাম কমানোর প্রত্যাশা রয়েছে। আমরাও এই সম্ভাবনা খারিজ করছি না। তবে জম্মু-কাশ্মীর এবং হরিয়ানার জন্য এক মাস নির্বাচনী আচরণ বিধি বহাল। মহারাষ্ট্রের জন্য বিধি চালুর আগে দিওয়ালির সময়টা দিয়ে ওই পদক্ষেপ করা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy