প্রতীকী ছবি।
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। চূড়ান্ত হিসেব কষার পরে দেখা গেল, বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স (ক্যাল-টেল) গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১) সুদ, কর ইত্যাদি মেটানোর আগে ১৮.৬১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হিসেবের নিরিখে কমপক্ষে গত পাঁচ বছর ধরে লাগাতার লোকসান করেছে সংস্থাটি।
নানা জটিলতায় গত বছর ক্যাল-টেলের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে। পরিষেবার অভাবে ভুগতে হয় বহু গ্রাহককে। সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১৯-২০ সালের চেয়ে গত অর্থবর্ষে তাদের আয় ১১% বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৯০ কোটি টাকা। খরচ ৫১% কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৭২ কোটি। ফলে সুদ ও অন্যান্য দায় মেটানোর আগে ১৮ কোটি টাকার বেশি লাভ হয়েছে। ওই হিসেবে ২০১৫-১৬ সাল থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত লোকসান হয়েছিল যথাক্রমে ২৬৩, ২১৩, ২৯৫, ৩৯৮ এবং ৫১৪ কোটি টাকা। তবে তার আগের হিসেব এ দিন মেলেনি।
ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সংস্থা পুনর্গঠনের পরে খরচ কিছুটা কমেছে। অতিমারি এবং প্রাকৃতিক দুর্ষোগের মধ্যেও কর্মী-অফিসারেরা কাজ করে এই সাফল্য এনেছেন।’’ তিনি জানান, গ্রাহকের ঘর পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে (এফটিটিএইচ) দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। খারাপ হওয়া ল্যান্ডলাইন ব্রডব্যান্ডর সংখ্যাও এখন আগের থেকে অনেক কম।
এ দিকে, এ দিন ভোরে এন্টালি এক্সচেঞ্জে বিদ্যুৎ জোগানের (ডিসি) ব্যবস্থাটি আচমকা বসে যাওয়ায় ‘মোবাইল সুইচিং সেন্টার’-ও বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতা, সল্টলেক-রাজারহাট ও হাওড়ার কিছু অংশে বেলা ১টা পর্যন্ত মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত হয়। বহু গ্রাহক ফোন বা ইন্টারনেট পরিষেবা পাননি সেই সময়।
টেলিকম সংস্থার আয় বাড়ল: সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির মোট আয় তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২.২৭% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১,৫৮৮ কোটি টাকা। মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। এক বছর আগে সংস্থাগুলির আয়ের অঙ্ক ছিল ৬৩,৭৬৪ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy