প্রথম ন’মাসে বিএসএনএলের সার্বিক আয় বেড়েছে। ফাইল ছবি।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ন’মাসে বিএসএনএলের সার্বিক আয় বেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির বিভিন্ন পরিষেবা অঞ্চলের (সার্কল) মধ্যে যে ১০টিতে ব্যবসা ঊর্ধ্বমুখী, তার মধ্যে অন্যতম ক্যালকাটা টেলিফোন্স (ক্যাল-টেল)। এই গতি ধরে রাখতে বকেয়া বিলের টাকা দ্রুত আদায়ের লক্ষ্য নিল তারা। সে জন্য অর্থবর্ষের শেষ মাসে অর্থাৎ মার্চের প্রতি শনিবার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র ছাড়াও বিশেষ শিবির খুলছে ক্যাল-টেল।
গত এপ্রিল-ডিসেম্বরে সংস্থার আয় বেড়েছে ৬৭.৭%। অক্টোবর-ডিসেম্বরে বৃদ্ধি ৭২.২%। সূত্রের খবর, প্রতিটি পরিষেবা অঞ্চলকে সংস্থার সদর দফতর মার্চেও আয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তাই সমস্ত পরিষেবার নতুন বিলের সঙ্গে পুরনো বিলের বকেয়া আদায়ে জোর দিচ্ছে সংস্থা। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র নেই, এমন স্থানে এ মাসের প্রতি শনিবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ৫০-৫৫টি শিবির বসবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। সেখানে বকেয়া বিল মেটানো যাবে। ছাড়ের যোগ্য হলে, তা মিলবে। চালু পদ্ধতিতে এ জন্য আবেদন করে তামেটাতে বাড়তি সময় লাগে। শনিবার বড়বাজার, সন্তোষপুর, বারুইপুর, জোকা, চুঁচুড়া (পিপুলপাতি মোড়) ইত্যাদি এলাকায় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বা নির্দিষ্ট জায়গায় ১৪টি শিবির হবে। কবে কোথায় হবে, তার তথ্য ক্যাল-টেলের সাইটে থাকবে। এমসএমএস বা ই-মেলেও গ্রাহকদের জানানো হবে।
বিভিন্ন জীর্ণ ভবনও সারাচ্ছে ক্যাল-টেল। তাদের সদর দফতর টেলিফোন ভবনের পাশাপাশি টেরিটিবাজার কেন্দ্র, আলিপুরের দূরসঞ্চার ভবন, বাগবাজার-মানিকতলা-বিধাননগরের মতো এক্সচেঞ্জের কাজ শুরু হয়েছে।সূত্রের খবর, সংস্থার ভবনের অব্যবহৃত অংশ থেকে আয় করতে সদর দফতর যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা মেনে টেলিফোন ভবনের একাংশ স্টেট ব্যাঙ্ক ও আধার কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দিয়েছে তারা। এসবিআইকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে দূরসঞ্চার ভবনও। কানাড়া ব্যাঙ্ক, এনইউজেএস, এফসিআইয়ের মতো আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কথা চলছে এলআইসি, ইপিএফও-সহ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy