অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের আগুনে পেস বোলিংয়ের সামনে বিরাট কোহালির বুক চিতিয়ে লড়াই চলবে সেই জানুয়ারির মাঝ পর্যন্ত। কিন্তু তার অনেক আগে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যরাতেই নিয়ম বদলে যাবে টিভির পর্দায় চ্যানেল পাওয়ার।
অনেক কেব্ল অপারেটর এবং গ্রাহকের আশঙ্কা, নতুন বিধিতে খরচ বাড়বে কেব্ল পরিষেবার। আগের সম সংখ্যক চ্যানেল দেখতে গেলেই গুনতে হবে বাড়তি কড়ি। কিন্তু তেমনই টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের আবার পাল্টা দাবি, যত চ্যানেলই ঘরে থাকুক, গ্রাহক গড়ে মেরেকেটে ঘোরান ২০টির মতো। এত দিন এক গুচ্ছ ‘না-দেখা’ চ্যানেলের ভিড় বাড়িয়ে প্যাকেজের মাসুল বেশি নেওয়ার প্রবণতা ছিল। নতুন নিয়মে তাতে স্বচ্ছতা আসার সম্ভাবনা। একই সঙ্গে এতে গ্রাহকের চ্যানেল বাছাইয়ে স্বাধীনতা বাড়বে বলেও তাদের মত।
বছর খানেক আগে নতুন নিয়মের কথা জানালেও, তা মামলায় থমকে ছিল। আইনি জটিলতা কাটার পরে সম্প্রতি ট্রাই তা চালুর জন্য চ্যানেল সংস্থা, মাল্টি সিস্টেম অপারেটর (এমএসও), লোকাল কেব্ল অপারেটর (এলসিও), ডিটিএইচ সংস্থাগুলিকে বলেছে।
বেঙ্গল ব্রডব্যান্ডের কর্তা মৃণাল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এতে গ্রাহকের চ্যানেল পছন্দের সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে টিভি দেখার খরচও। তাঁর আশঙ্কা, গ্রাহক মাসুল থেকে এমএসও এবং কেব্ল অপারেটরদের আয়ের যে হার ঠিক করা হয়েছে, তা লাভজনক না-ও হতে পারে। ট্রাইয়ের চেয়্যারম্যানের অবশ্য দাবি, চ্যানেল বাছাই ও তার দাম বোঝার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে। দর বরং কমার কথা।
সংশ্লিষ্ট মহল মানছে, এত কম সময়ে রাজ্যের প্রায় এক কোটি গ্রাহকের কাছ থেকে তাঁদের পছন্দের তালিকা পাওয়া শক্ত। বেশিরভাগ জায়গায় এখনও এ নিয়ে প্রচার না হওয়ায় বিভ্রান্তিও চরমে। প্রচারে এখনও খামতি আছে মানলেও সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, বদলের সমস্ত তথ্য কেব্ল অপারেটর বা চ্যানেলের ওয়েবসাইটে মিলবে। এমএসওগুলিও অ্যাপ চালু করবে। চ্যানেলের পর্দাতেও পে চ্যানেলের সর্বোচ্চ দাম জানাতে বলা হয়েছে। ট্রাইয়ের দাবি, আগে এই দাম স্পষ্ট ভাবে বলা না থাকায় ধোঁয়াশা তৈরি হত। মুশকিলে পড়তেন গ্রাহকেরা।
আরও পড়ুন: অধিনায়কেরা আশ্বাস দিলেও স্লেজিং নিয়ে বাড়ছে উত্তাপ
সিটি কেব্লের ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়া বলেন, ‘‘ট্রাইয়ের নির্দেশ মেনে চলব। পুরো বিষয়টি এখন প্রায় চূড়ান্ত হওয়ায় কেব্ল অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁরা গ্রাহকদের কাছে যাবেন। প্রথম চালুর সময়ের সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।’’ তাঁদের হিসেবে, রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় গ্রাহক পিছু গড় মাসুল এখন ১৬০-১৭০ টাকা। কলকাতায় ৩০০ টাকার বেশি। নতুন নিয়মে খরচ কত হয়, সে দিকে নজর সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy