প্রতীকী ছবি।
প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর স্বপ্ন পূরণ করতে গত বছরের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চপ্পল থেকে খেলনা, আসবাব থেকে গ্রাইন্ডার-মিক্সার— বহু পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল, এ সব ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আমদানি কমিয়ে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-য় জোর দেওয়া।
বাজেটের আগে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রীকে ঠিক এর উল্টো পরামর্শ শুনতে হয়েছিল। অর্থনীতিবিদেরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ফলে কাঁচামালের দামও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে শিল্পে উৎপাদনের খরচ বাড়ছে। মোদী সরকারকে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্য পূরণ করতে হলে, আমদানি শুল্ক না বাড়িয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা যে পরামর্শই দিন, সোমবারের বাজেটের আগে ইঙ্গিত, অর্থ মন্ত্রক তার নিজের পথে হেঁটেই বেশ কিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়াবে। গত চার-পাঁচ বছর ধরেই মোদী সরকার বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে রক্ষণশীল মনোভাব নিয়ে চলছে, এ বারও একই নীতি বজায় থাকবে। অন্তত ৫০ রকম পণ্যে আমদানি শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশের কাছাকাছি বাড়তে পারে।
অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, লকডাউনের ফলে রাজস্ব আয় যে ভাবে ধাক্কা খেয়েছে, তাতে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে আয় বাড়ানোরও চেষ্টা হবে। কিছু শিল্পে কাঁচামালে আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ার ফলে দেশীয় শিল্প সংস্থাগুলি অসুবিধা পড়ছে বলে বণিকসভার তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে। ফলে ব্যবসা ও উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখে কিছু পণ্যের কাঁচামালে আমদানি শুল্ক কমতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy