—ফাইল চিত্র
বাজেটে চা নিয়ে ঘোষণা থাকলেও ধন্দ কাটছে না শ্রমিক মহলে। গত বছর বাজেটের পরে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিরোধীরাও কটাক্ষ করেছিলেন, বাজেট বক্তৃতায় ‘চা’ শব্দটিই উচ্চারণ করেননি অর্থমন্ত্রী। এ বছর বক্তৃতার শেষের দিকে চা শিল্পের কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। একটি মাত্র লাইনে বলেছেন— চা শ্রমিক, বিশেষত নারী এবং শিশুদের উন্নতির জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের চা শ্রমিকরা এতে উপকৃত হবেন। চা পর্ষদের তথ্য বলছে, দেশে ১৬টি রাজ্যে চা উৎপাদন হয়। তার মধ্যে হঠাৎ দু’টি রাজ্যের শ্রমিকদের কথা আলাদা করে কেন বললেন অর্থমন্ত্রী? শ্রমিক সংগঠনের একাংশের দাবি, দু’রাজ্যেই ক’মাসের মধ্যে বিধানসভা ভোট হবে। তা মাথায় রেখেই এই ঘোষণা।
কিন্তু এই বরাদ্দ কী ভাবে খরচ করবে কেন্দ্র? নারী এবং শিশু চা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হবে? চা শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হবে? সে ক্ষেত্রে সরাসরি কেন্দ্রের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। হয় রাজ্য, না হলে সংশ্লিষ্ট চা বাগানের সাহায্য নিতে হবে। যে বাগানগুলি বন্ধ বা যেখানে অচলাবস্থা চলছে, সেখানে কী করে পৌঁছবে কেন্দ্র— সেই প্রশ্নও থাকছে।
প্রথা অনুসারে, চা সংক্রান্ত ঘোষণা বা প্রকল্প থাকলে চা পর্ষদের থেকে মত বা প্রস্তাব নেয় কেন্দ্র। যে হেতু পর্ষদের কাছে শিল্প এবং শ্রমিক, দুই সংক্রান্তই তথ্যভাণ্ডার থাকে, তাই এই রীতি চলে এসেছে। সূত্রের খবর, এ দিনের ঘোষণার আগে চা পর্ষদের থেকে এমন প্রস্তাব বা
মত নেওয়া হয়নি। পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রভাতকুমার বেজবড়ুয়া বলেন, “ঘোষণা শুনেছি। কী ভাবে এই বরাদ্দ খরচ হবে তা পরে জানাতে পারব।”
সূত্রের খবর, শ্রমিকদের জন্য এমন বরাদ্দ আগে কেন্দ্রীয় বাজেটে হয়নি। তবে এতে চা শিল্পের অর্থনীতি কতটা সুফল পাবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘চা বাগান নিয়ে মিথ্যাচার করছে কেন্দ্র। এর আগে বাগান খোলার কথা বলেছিল। একটা বাগানও খোলেনি। আগে বাগান খুলুক।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেননি।’’
ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন-ও বাজেটে বরাদ্দকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এর ফলে চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান বদলাবে। তবে বাম-ডান চা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক জিয়াউল আলম বলেন, “চা শিল্পে নতুন যন্ত্রাংশ কী ভাবে ব্যবহার হবে, জিএসটি হার কী ভাবে কমবে— তার দিশাই নেই। চা শিল্পে ২% টিডিএস চেপেই রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy