বেতন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল আগেই। চলতি মাসে ন্যূনতম ব্যয়ের তুলনায় আয়ের ফারাক এমন দাঁড়িয়েছে যে, অবিলম্বে অর্থের জোগান না হলে বেতন নিয়ে ফের সমস্যা তো হবেই, সেই সঙ্গে সংস্থা পরিচালনায়ই সঙ্কটে পড়বে বলে আশঙ্কা বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের। সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে টেলিকম দফতরকে (ডট) চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
১৭ জুন বিএসএনএলের সিনিয়র জিএম (কর্পোরেট বাজেট অ্যান্ড ব্যাঙ্কিং) পূরণ চন্দ্র ডটের যুগ্ম সচিব ও বিএসএনএলের পরিচালন পর্ষদে সরকার পক্ষের ডিরেক্টরকে চিঠিতে আয়-ব্যয়ের হিসেব দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, এ মাসে বেতনের অর্থ জোগাড় করাও কঠিন। চিঠিতে তাঁর আরও দাবি, সংস্থার মাসিক আয় ও ন্যূনতম খরচের ফারাক (১১,৭৮৬ কোটি টাকা) যেখানে পৌঁছেছে, অবিলম্বে অর্থের সংস্থান করা না হলে মসৃণ ভাবে সংস্থা চালানোই অসম্ভব। সঙ্কট থেকে বেরোতে ডটের পরামর্শ চেয়েছেন তাঁরা। সংস্থার সিএমডি-র অনুমতি নিয়েই ওই চিঠি লিখছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বিএসএনএলের কর্মী-অফিসারদের সাতটি সংগঠন দাবি করেছিল, কর্মী সংখ্যা নয়, বরং বাজারের পরিস্থিতি ও সংস্থাটির প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনাই বেহাল আর্থিক দশার জন্য দায়ী। অন্য দিকে, সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের সংগঠনের অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি অমিত গুপ্তের অভিযোগ, প্রাপ্য চিকিৎসা বিলের বকেয়া তাঁরা হাতে না পেলেও তা দেওয়া হয়েছে দেখিয়ে করের হিসেবে তা ধরেছেন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সংস্থার ডিরেক্টরকে (ফিনান্স) চিঠি দিয়েছে তাঁদের সংগঠন।
এখনও পর্যন্ত
• মাসুল যুদ্ধে আয় তলানিতে।
• আর্থিক সঙ্কটে গত বছর থেকে অনিয়মিত ঠিকা কর্মীদের বেতন।
• ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বেতন বকেয়া পড়ে স্থায়ী কর্মীদের।
• দাবি জানিয়েও মেলেনি ৪জি স্পেকট্রাম।
• ঋণ নিতে কেন্দ্রের ছাড়পত্রে দেরির জন্য টান কার্যকরী মূলধনে।
• খরচ কমাতে স্বেচ্ছাবসরের ভাবনা।
• কম আয়ের এক্সচেঞ্জ বন্ধ, গাড়ির খরচ কমানো।
নতুন সঙ্কট
• আর্থিক সমস্যা আরও তীব্র।
• এ মাসে ব্যয়ের তুলনায় আয়ের ঘাটতি ১১,০০০ কোটি টাকারও বেশি।
• জুনে স্থায়ী কর্মীদের বেতন নিয়ে সংশয়।
• কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে চিঠি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy