ফাইল চিত্র।
এক সপ্তাহ আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণার সময়েও ব্যারেল প্রতি ৯৫ ডলারের আশেপাশে ছিল ব্রেন্ট ক্রুডের দর। সেই অশোধিত তেলই বৃহস্পতিবার একটা সময়ে পৌঁছে গেল ১২০ ডলারের কাছাকাছি। পরে অবশ্য তা ১১০-১১৫ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তেলের দাম যে ধারাবাহিক ভাবে আরও বাড়তে পারে এ দিন সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। আর তা হলে বিশ্ব জুড়ে আরও মাথা তুলবে মূল্যবৃদ্ধির দৈত্য। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো ধাক্কা খাবে। কমবে জিডিপি বৃদ্ধির হার। যে পরিস্থিতির পোশাকি নাম ‘স্ট্যাগফ্লেশন’। মূল্যবৃদ্ধি রুখতে এ দিন ফের সুদ বৃদ্ধির বার্তা দিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ।
সারা বিশ্বে উৎপাদিত অশোধিত তেলের ১১ শতাংশের উৎস রাশিয়া। আর ইউরোপে যে তেল যায় তার প্রায় ৩০% সরবরাহ করে মস্কো। বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, যুদ্ধের ফলে সেই সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবার এরই মধ্যে ওপেক গোষ্ঠী এবং তাদের সহযোগী দেশগুলি জানিয়েছে, বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ মসৃণ করতে তারা উৎপাদন বাড়াবে ঠিকই, কিন্তু তা হবে ধীরে ও ধারাবাহিক গতিতে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রে খবর, আমেরিকার আপৎকালীন তেলের মজুত ভান্ডার হঠাৎই কমে এসেছে। ব্রিটেন, জার্মানি-সহ প্রথম সারির তেল আমদানিকারী দেশগুলির মজুতও খুব শক্তিশালী জায়গায় নেই। এই সমস্ত খবরের ফলেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৫% বেড়ে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১২০ ডলারের কাছে চলে যায় বলে মত তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy