Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Yes Bank

ইয়েস ব্যাঙ্ক পুনর্গঠনে ধাক্কা বন্ডে লগ্নিকারীদের

বিশ্বে ব্যাঙ্ক পরিচালন ব্যবস্থার অন্যতম মাপকাঠি হল বাসেল নীতি। ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার পরে তৃতীয় দফার নিয়ম আনা হয়েছে।

—ফাইল ছবি

—ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২০ ০৫:২৫
Share: Save:

ইয়েস ব্যাঙ্ককে চাঙ্গা করতে যে খসড়া পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্ক পরিচালনায় বাসেল-থ্রি বিধি অনুযায়ী ব্যাঙ্কের অ্যাডিশনাল টিয়ার-১ ক্যাপিটাল বন্ডে লগ্নি টাকার পুরোটাই ‘রাইট অফ’ (হিসেব থেকে মুছে ফেলা) করা হবে বা লগ্নিকারীর দাবির বাইরে রাখা হবে। অর্থাৎ আসল ও সুদ, কোনও টাকা ফেরত পাবেন না লগ্নিকারী। এর জেরে ক্ষুব্ধ মিউচুয়াল ফান্ড, বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা ও মোটা টাকা ঢালেন এমন লগ্নিকারীরা। যাঁদের এই খাতে প্রায় ১০,৮০০ কোটি টাকা লগ্নি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছেন তাঁরা।

বিশ্বে ব্যাঙ্ক পরিচালন ব্যবস্থার অন্যতম মাপকাঠি হল বাসেল নীতি। ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার পরে তৃতীয় দফার নিয়ম আনা হয়েছে। সেই নীতি অনুসারে, ব্যাঙ্কগুলির মূলধন সংগ্রহের অন্যতম পথ হল টিয়ার-১ ক্যাপিটাল বন্ড এবং টিয়ার-২ ডিবেঞ্চার বাজারে ছাড়া। অ্যাডিশনাল টিয়ার-১ বন্ড বিক্রির অন্যতম শর্ত, ব্যাঙ্কটি লোকসান করলে ও তার ফলে মূলধন নির্দিষ্ট অঙ্কের নীচে নামলে বা মুছে গেলে সেই অর্থ ভরা হবে এই বন্ড থেকে। প্রয়োজনে পুরো টাকাই ব্যবহার হবে। বন্ড মালিকরা মূল টাকা বা সুদ কোনওটাই ফেরত পাবেন না। পুরো টাকা না-লাগলে যে অর্থ বাঁচবে, তা ওই লগ্নিকারীদের বিনিয়োগের অঙ্কের অনুপাতে ফেরত দেওয়া হবে।

টিয়ার-২ ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করা আংশিক টাকা ব্যবহার করতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। বাকি টাকা বন্ডের মালিক ফেরত পাবেন।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাই টিয়ার-১ বন্ড ‘রাইট অফ’ করা বেআইনি নয়। তবে চিন্তা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Yes Bank Bond Investor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE