প্রতীকী ছবি
দীর্ঘ লোকসান কাটিয়ে টানা লাভের মুখে দেখছে দেশের প্রথম ওষুধ সংস্থা, এ রাজ্যের বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস (বিসিপিএল)। অথচ এখনও কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে তার নাম বাদ যায়নি। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। আর তারই মধ্যে দাঁড়িয়ে লাভের পথ ক্রমশ চওড়া করে চলেছে তারা। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে ১৩.২৮ কোটি টাকা লাভ করেছে বিসিপিএল, যা রেকর্ড বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সংশ্লিষ্ট মহলের আক্ষেপ, এমন লাভে থাকা সংস্থার বিলগ্নির সত্যি কোনও প্রয়োজন আছে কি! মোদী সরকারের ভেবে দেখা উচিত, দাবি একাংশের।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত বিসিপিএল এক সময়ে রুগ্ণ হয়ে বিআইএফআরে চলে গিয়েছিল। খরচ কমিয়ে ও নতুন ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে প্রায় ছ’দশক পরে ২০১৬-১৭ সাল থেকে ফের মুনাফার মুখ দেখছে সংস্থা। বিদায়ী ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি এম চন্দ্রাইয়া জানান, ঘর পরিষ্কার ও জীবাণুনাশক পণ্যের ব্যবসারই আয় এখন প্রায় ৭০%। বাকি ওষুধ ব্যবসা থেকে। তবে ওষুধের চেয়ে অন্যটিতে লাভ বেশি। তাঁর দাবি, গত অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে মোট আয় ছিল ৩২ কোটি। এ বার ৪৪ কোটি। কর্মী পিছু প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে উৎপাদনশীলতা। বাজারে আসার পরে দু’মাসে স্যানিটাইজ়ারের বিক্রি ছাড়িয়েছে এক কোটি টাকা।
ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টস ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর (ফিনান্স) পদের দায়িত্ব নিতে চলা চন্দ্রাইয়ার কথায়, ‘‘গত ছ’বছরে বিসিপিএলে কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভাল। কর্মী ও ইউনিয়নের সহযোগিতা পেয়েছি। ২০০৭ সালের বেতনক্রমও চালু হয়েছে।’’ অর্থবর্ষের হিসেবেও লাভের রেকর্ড গড়বে, আশা তাঁর।
বিসিপিএলের লক্ষ্য ২০২২ সালে মিনিরত্ন খেতাব পাওয়া। চন্দ্রাইয়া জানান, এ জন্য টানা তিন বছর লাভ ও তার মধ্যে এক বার ৩০ কোটি মুনাফা করতে হবে। নিট সম্পদও ইতিবাচক হতে হবে, যা এখন ঋণাত্মক। তাঁর বার্তা, সব শর্ত পূরণ করে ওই খেতাব অর্জন করবে বিসিপিএল।
প্রথম ছ’মাসে
অর্থবর্ষ মুনাফা
• ২০১৬-১৭ ১.১৬
• ২০১৭-১৮ ১.৪০
• ২০১৮-১৯ ১০.৮
• ২০১৯-২০ ৫.৬৯
• ২০২০-২১ ১৩.২৮
লাভের হিসেব কোটি টাকায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy