প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও তার জেরে মাত্রাছাড়া অশোধিত তেলের দর যে জ্বালানিতে ভারতের মতো আমদানি নির্ভর দেশগুলির অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার। উপদেষ্টা সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলিও সেই কারণে পরের অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটেছে। রেটিং সংস্থা ক্রিসিল দাবি করছে পেট্রোপণ্যে শুল্ক কমানো জরুরি। এ বার সেই ঝুঁকির কথা জানিয়ে তেলে শুল্ক কমানোর সওয়াল করলেন অর্থনীতিবিদ এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির সদস্য অসীমা গয়ালও। বললেন, ‘‘...তেলের দাম যখন নেমেছিল তখন শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল এবং এখন তা কমানো যেতে পারে। চড়া দর বহাল থাকলে খুঁজে বার করা যেতে পারে বোঝা ভাগাভাগি করার রাস্তাও।’’
শুল্ক ছাঁটাই করলে রাজকোষে চাপ পড়বে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের। রবিবার গয়াল অবশ্য বলেন, করোনা পরবর্তী পর্যায়ে ভালভাবেই এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। বেড়েছে কর আদায়। টানা সংস্কার ও সরকারি বিভিন্ন নীতি ইতিমধ্যেই অর্থনীতিতে গতি আনতে সাহায্য করেছে। ফলে এই মুহূর্তে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের সামনে চড়া তেলের আঘাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার পথ খোলা রয়েছে।
তবে সেই সঙ্গে অসীমার সতর্কবার্তা, অতীতে দেখা গিয়েছে কোনও সঙ্কটের কারণে তেলের দর বাড়লেও, সেই বৃদ্ধি ক্ষণস্থায়ী হয়। কিন্তু তা বেশি দিন ধরে চললে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাঁর প্রস্তাব, এই অবস্থা যুঝতে শুধু একসঙ্গে কাজ করাই নয়, শীর্ষ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় সরকারকে এমন পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে দেশে স্থায়ী ভাবে কাজ তৈরি হয় ও লগ্নি বাড়ে। সেই সঙ্গে ভারতের তেলে আমদানি নির্ভরতা কমানোয় জোর দেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছে তিনি।
পাশাপাশি, ঋণনীতি কমিটির এই সদস্যের মতে, তেলের দাম ব্যারেলে গড়ে ৮০ ডলার ধরে নিয়েই মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। পরের অর্থবর্ষে যা ধরা হয়েছে ৪.৫%। কিন্তু আগামী দিনে তেলের চড়া দর বজায় থাকলে তা বাড়ানো হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy