—প্রতীকী চিত্র।
কোভিড বহু মানুষের আর্থিক সম্বলে কোপ বসিয়েছিল। পরে ওষুধ, খাদ্যপণ্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের চড়া দাম নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের সঙ্কট বাড়িয়েছে। একাংশের হাতে বাড়তি পুঁজির অভাবে যে দেশে কম দামি ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি কমছে, তা সামনে এসেছিল আগেই। বুধবার উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষা জানাল, সাধারণ রোজগেরেদের কথা ভেবে যে সাধ্যের আবাসনগুলি (৫০ লক্ষ টাকার কম দামি অ্যাফর্ডেবল হাউসিং) তৈরি হয়, তার বিক্রি জুলাই-সেপ্টেম্বরে গত বছরের তুলনায় চোখে পড়ার মতো কমেছে প্রথম সারির আটটি শহরের ছ’টিতেই। ব্যতিক্রম শুধু কলকাতা আর চেন্নাই।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের দাবি, বিক্রিতে ভাটার প্রধান কারণ ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি এবং চড়া সুদের জন্য ঋণের মাসিক কিস্তি শোধের (ইএমআই) বাড়তি বোঝা। যে কারণে সুদে ভর্তুকি বা ঋণ শোধের মেয়াদ বৃদ্ধি-সহ কিছু সুবিধা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা।
সমীক্ষা বলছে, ২০১৮ থেকেই বিক্রি কমছে (২৬%) সাধ্যের ফ্ল্যাট-বাড়ির। এ বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে কমার হার প্রায় ১০%। বিক্রি সঙ্কুচিত বেঙ্গালুরু (-৫৮%), হায়দরাবাদ (-৪৪%), আমদাবাদ (-১৫%), রাজধানী অঞ্চল (-১৪%), পুণে (-৬%), মুম্বইয়ে (-৩%)। তবে কলকাতা ও চেন্নাইতে বেড়েছে যথাক্রমে ৩৯% ও ১২১%। সংস্থার এমডি শিশির বৈজল এবং প্রধান গবেষক বিবেক রাঠির মতে, এই ঝিমুনি উদ্বেগজনক। যদিও বিক্রি বেড়েছে দামি ফ্ল্যাটের।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্ল্যাটের দামের যে অংশ থোক দিতে হয় (ডাউনপেমেন্ট), তা গড়ে বেড়েছে ৭%। ঋণের কিস্তি বেড়েছে ১৪%। শিশিরের কথায়, আর্থিক সঙ্কট সাধারণ আয়ের মানুষকে ধাক্কা দিয়েছে। যা গ্রামীণ চাহিদা এবং কম দামি যাত্রিবাহী গাড়ির বাজারেও প্রভাব ফেলছে। যেহেতু আবাসনের বাজারে সাধ্যের ফ্ল্যাটই বেশি, তাই এই ঝিমুনি চললে শিল্পের ক্ষতি। বিবেক বলেন, কলকাতায় বিক্রি বেড়েছে বটে। তবে সেটা নিচু ভিতের জন্য। গত বছর রাজ্যে কেন্দ্রীয় আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন (রেরা) চালু হওয়ায় বিক্রি কম ছিল। চেন্নাইয়ে অবশ্য বরাবর কম দামি ফ্ল্যাট-বাড়ি বিকোয় বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy