একশো টাকায় টিকিট পেতে সকাল থেকে হিমসিম খেলেন যাত্রীরা। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বসে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট।
বুধবার ভোর থেকে বিমানসংস্থার নিজস্ব সাইটে ঢুকলে তবেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে বলে ঘোষণা করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। ঘোষণা ছিল ২৭ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে টিকিট কাটলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোনও রুটের টিকিট মিলবে একশো টাকায়! তবে, সেটি বিমানের মূল ভাড়া। তার উপরে কর লাগবে অতিরিক্ত। সেই কর যোগ করে কলকাতা-দিল্লি রুটের টিকিট পাওয়া যাবে প্রায় ৪২০০ টাকায়। কলকাতা-বেঙ্গালুরুর টিকিট পাওয়া যাবে প্রায় ৪৫০০ টাকায়।
সকাল সকালই সাইটে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সংস্থার দাবি, সে কারণেই বিপত্তি। এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানান, যাত্রীদের চাপেই সকাল ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কার্যত কাজ করেনি ওয়েবসাইট। কিন্তু, তারপর থেকে আস্তে আস্তে আবার কাজ করতে শুরু করে সেটি। সংস্থার দাবি, এই অফারে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে। প্রথম দু’ঘণ্টায় পাঁচশোর বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। বাস্তব চিত্র বলছে, এ দিন সন্ধ্যার পরেও সাইটে ঢোকা যায়নি। ক্লিক করলে বেশির ভাগ সময়েই ‘সার্ভিস আনঅ্যাভেলেব্ল’ দেখিয়েছে।
বুধবারই দিল্লিতে ‘এয়ার ইন্ডিয়া ডে’ পালন করা হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। ২০০৭ সালের এই দিনটিতে পূর্বতন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়াকে। কিন্তু, সকাল থেকে সাইট কার্যত বসে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে যান সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। সংস্থার তরফে সাইট সক্রিয় করা নিয়ে দাবি করা হলেও সমস্যার সমাধান মেলেনি রাত পর্যন্ত।
এ দিকে অভিযোগ উঠেছে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা নিয়েও। বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডি জি সি এ)-এ যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, দেশের অন্য সমস্ত বিমান সংস্থার চেয়ে যাত্রীদের অভিযোগ এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ মূলত বিমান দেরিতে ছাড়া এবং অন্যান্য যাত্রী পরিষেবা নিয়ে। আশার কথা, জুন মাসে যেখানে ডিজিসিএ-র কাছে যাত্রীদের তরফে ৯০০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেখানে জুলাই মাসে জমা পড়েছে ৫৮১টি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পাইসজেট এবং তৃতীয় স্থানে ইন্ডিগো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy