প্রতীকী ছবি।
কৃষিঋণ মকুবের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (ইউবিআই) এমডি-সিইও অশোক প্রধান। এই ব্যাঙ্ক-কর্তার অভিযোগ, তাঁর ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদ জমে ওঠার অন্যতম প্রধান কারণই হল অনাদায়ি কৃষিঋণ।
সম্প্রতি ইউবিআইয়ের চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধান বলেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দফায় কৃষিঋণ মকুব হওয়ায় প্রতি বছরই কৃষকেরা ভাবেন, ফের মকুব করা হবে তাঁদের ধার। আর ওই ধারণা থেকেই অনেকে সেই টাকা শোধ করেন না, বা শোধ করার আগ্রহ দেখান না। ফলে ব্যাঙ্কের খাতায় জমে ওঠে অনুৎপাদক সম্পদ।’’
এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনর রঘুরাম রাজনের মতো অর্থনীতিবিদেরাও যুক্তি দিয়েছেন, ঋণ মকুব কৃষি বা কৃষকদের সমস্যার সমাধান নয়। এতে চাষিদের ধার শোধ করার অভ্যাস চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা।
প্রধানের দাবি, ইউবিআইতে যে সব ক্ষেত্রে অনুৎপাদক সম্পদ সব থেকে বেশি, তার অন্যতম কৃষি। তাঁদের কৃষিঋণে অনুৎপাদক সম্পদ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়া চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ইউবিআই ১১৩.৫৬ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে। এই নিয়ে টানা চার ত্রৈমাসিকে লাভ দেখল তারা। যেখানে এক বছর আগে কলকাতার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির নিট লোকসানের অঙ্ক ছিল ১১৩৯ কোটি। প্রধানের দাবি, অনুৎপাদক সম্পদ কমায় ওই খাতে আর্থিক সংস্থান কম করতে হওয়া এবং সুদ-সহ অন্যান্য খাতে আয় বৃদ্ধিই মুনাফার মুখ দেখিয়েছে। ইউবিআইয়ে এখন নিট অনুৎপাদক সম্পদের হার ৮.৫৬%। আশা, মার্চের শেষে তা ৬ শতাংশের নীচে নামবে।
ইউকো ব্যাঙ্কের লোকসান: তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কলকাতার আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউকো ব্যাঙ্কের নিট লোকাসান আগের বারের থেকে ৩৮.৫৭ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৯৬০.১৭ কোটি। নিট হিসাবে তাদের অনুৎপাদক সম্পদের হার ৬.২৪ শতাংশ। ইউকো ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও এ কে গোয়েলের আশা, চলতি অর্থবর্ষ শেষে ওই হার ৬ শতাংশের নীচে নামবে। তা হলে ইউকো ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের (প্রম্পট করেকটিভ অ্যাকশন) আওতা থেকে বেরিয়ে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy