প্রতীকী ছবি।
বিএসএনএলে যখন স্বেচ্ছাবসর (ভিআরএস) প্রকল্পে নাম লেখানোর হিড়িক পড়েছে ঠিক তখনই ফের অভিযোগ উঠল, বেতন না-পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সংস্থার আরও এক অস্থায়ী কর্মী। কেরলের পলাক্কড়ের বাসিন্দা অনিল কুমার। কিছু দিন আগে কেরলেরই মলপ্পুরমে বিএসএনএলের অফিসে অস্থায়ী কর্মী রামকৃষ্ণনের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল। তখনও সিটু অনুমোদিত অস্থায়ী কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ ছিল, ১০ মাস ধরে বেতন না পাওয়ার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪০ বছরের অনিল। তিনি ২৪ বছর ধরে বিএসএনএলের কর্মী। তবে গত ছ’মাস বেতন পাচ্ছিলেন না, অভিযোগ অনিলের আত্মীয়দের। এর আগে ৭ নভেম্বর আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ভান্দুর জেলার রামকৃষ্ণনও ১০ মাস ধরে বেতন পাননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। তিনি ৩০ বছর ধরে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থায় আংশিক সময়ের কর্মী ছিলেন।
সম্প্রতি আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবনে সায় দিয়েছে কেন্দ্র। যার অঙ্গ হিসেবে এখন জোরকদমে চলছে স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব গ্রহণ প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার সংস্থা সূত্রের দাবি, সাত দিনেই তাতে নাম লিখিয়েছেন ৭৫ হাজারেরও বেশি কর্মী-আধিকারিক। যেখানে বেতন খাতে খরচ কমাতে সংস্থার লক্ষ্য ছিল, ৭০-৮০ হাজার জনকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রস্তাব দেওয়ার পরে তা প্রত্যাহারও করেছেন প্রায় ৭০০ জন। প্রায় ৮০০ কর্মী জানিয়েছেন, এ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংস্থা ঢেলে সাজাতেই কর্মী কমাচ্ছে বিএসএনএল। তবে তা প্রায় অর্ধেক কমে গেলে কী ভাবে কাজ চলবে, সুষ্ঠু পরিষেবাই বা কী ভাবে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সংস্থার অন্দরে। সব সার্কলের শীর্ষ কর্তাদের পাঠানো চিঠিতে বিএসএনএল ডিরেক্টরের (এইচ আর) বক্তব্যেও সেই সুর। তিনি বলেছেন, সার্কল কর্তারা হয়তো উদ্বিগ্ন যে, কম কর্মী নিয়ে চালাবেন কী করে। তবে সদর দফতরে এ নিয়ে কথা হচ্ছে। তাই বিকল্প কৌশল স্থির করতে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে সার্কলগুলির থেকে মতামত চেয়েছে সদর দফতর।
এরই মধ্যে সব সার্কলে লাগাতার ১৩০ দিন ধরে চলছে অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ-আন্দোলন। ১০ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না যাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া মেটানো হোক। এ রাজ্যে অস্থায়ী কর্মী প্রায় ৬০০০ জন। সকলেরই অভিযোগ, এত দিন ধরে হাতে টাকা না-আসায় দুর্দশার মধ্যে দিয়ে জীবন কাটছে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy