ভারতীয় টাকা। ফাইল চিত্র।
একই দিনে অর্থনীতি নিয়ে আশা এবং মাথাব্যথার কথা শোনাল সরকারি পরিসংখ্যান। বুধবার কেন্দ্র জানিয়েছে, এপ্রিলে ভারতের শিল্প বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩.৪%। যা ছ’মাসে সর্বাধিক। তবে গত বছরের একই সময়ে ৪.৫ শতাংশের তুলনায় কম। মার্চে ওই হার সরাসরি কমেছিল। তার আগের মাসে কমেছিল ০.১%। আবার অন্য দিকে, দ্বিতীয় দফার মোদী সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে মে মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছে গিয়েছে সাত মাসের সর্বোচ্চ অঙ্কে। তা দাঁড়িয়েছে ৩.০৫%। এপ্রিলে ওই হার ছিল ২.৯৯% (সংশোধিত)। মূলত আনাজ, মাছ ও মাংসের মতো খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াই যার কারণ।
মার্চে শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমে যাওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছিল কেন্দ্রের। তার পরে বিপুল ভোটে জিতে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরেছে মোদী সরকার। কিন্তু তার মধ্যেই অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা বাড়িয়ে গত অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৮-১৯ সালের শেষ ত্রৈমাসিকের অবস্থা আরও খারাপ। সেই অবস্থায় খনন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ার জেরে এপ্রিলে তা বেশ কিছুটা মুখ তোলায় স্বস্তি পাবে কেন্দ্র। যদিও এখনও চিন্তায় রাখছে উৎপাদন শিল্প। ওই সময়ে তা বেড়েছে ২.৮% হারে। এক ধাক্কায় ২.৫ শতাংশে নেমেছে মূলধনী পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হারও। মূলত যাকে চাহিদা মাপার মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়। ভাল ফল করেনি ভোগ্যপণ্যও।
আবার সুদের হার স্থির করতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত সপ্তাহে ঋণনীতিতে মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে তারা। বলেছে, এই অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে তা হবে ৩%-৩.১%। আর পরের ছ’মাসে ৩.৪%-৩.৭%। অনেকে বলছেন, এই অবস্থায় গত মাসেই তা ওই পূর্বাভাসের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার জেরে আগামী ঋণনীতিতে সুদ কমানোর ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিতে পারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
একাংশের যদিও মত, শীর্ষ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য মূল্যবৃদ্ধিকে ৪% হারে (+/-২) বেঁধে রাখা। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এখনও তা ওই সীমার মধ্যে রয়েছে। তার উপরে কলকারখানার কাজে গতি আসার লক্ষণ নেই। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ফেরাতে এবং তার হাত ধরে বৃদ্ধিতে গতি আনতে টানা তিন ঋণনীতির পরে অগস্টেও সুদ কমানোর রাস্তা খোলা রয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy