অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবসা গত বারের চেয়ে বেড়েছে। প্রতীকী ছবি।
অতিমারির সময়ে সারা বিশ্বের মতো ভারতেও যে আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে, তা স্পষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষা রিপোর্টে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার আর্থিক পুনরুজ্জীবন নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে অত্যাবশ্যক পণ্য বাদে অন্যান্য ভোগ্যপণ্য কেনার ব্যাপারে আমজনতার একাংশ যে এখনও হাত গুটিয়ে রেখেছেন কিংবা বুঝেশুনে পা ফেলতে চাইছেন, তা-ও মোটামুটি স্পষ্ট। তবে তারই মধ্যে গত মার্চে দেশের খুচরো ব্যবসা এক বছর আগের তুলনায় ৬% বৃদ্ধির মুখ দেখেছে বলে জানাল এই ক্ষেত্রের সংগঠন রিটেলারস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (আরএআই)।
করোনার উপর্যুপরি ঢেউয়ে গত তিন বছর নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে খুচরো ব্যবসাকে। আর্থিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হওয়ার পরে নতুন সমস্যা তৈরি করেছিল মূল্যবৃদ্ধি। তবে আরএআই সূত্রের খবর, গত বছরের মার্চে ভাল ব্যবসা করেছিল এই ক্ষেত্র। সেই উঁচু ভিতের প্রেক্ষিতে এ বারের মার্চে বৃদ্ধির হার স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা কম (৬%)। আসবাবপত্র-গৃহসজ্জা (১৩%) এবং বৈদ্যুতিক-ভোগ্যপণ্যের (১২%) ব্যবসা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। যদিও এত স্বল্প মেয়াদে এই বৃদ্ধির হার সম্পর্কে এখনই কোনও বিশ্লেষণে যেতে নারাজ সংগঠনটি।
আরএআইয়ের তথ্য, প্রসাধন-ব্যক্তিগত চর্চা-সুস্থ থাকার পণ্য (১%), পোশাক (২%) এবং গয়নার (২%) ক্ষেত্রে ব্যবসা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম। অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবসা গত বারের চেয়ে বেড়েছে। যেমন, ক্রীড়া সরঞ্জাম (১১%), দ্রুত পরিষেবার রেস্তরাঁ (১০%), খাবার ও মুদিদ্রব্য (১১%) এবং জুতো (৬%)। আগামী দিনের বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চায় না আরএআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy