প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে লকডাউনের পথে হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্য। এই অবস্থায় চলতি আর্থিক বছর (২০১৯-২০) শেষ হওয়ার সময়সীমা আগামী ৩১ মার্চ থেকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে অন্তত ৩০ এপ্রিল করার দাবি জানালেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (সিএ) একাংশ। যাতে কর মেটানো-সহ বছর শেষের অন্যান্য আর্থিক ও ব্যবসায়িক কাজকর্ম চালানোর জন্য আরও কিছুটা সময় পাওয়া যায়।
এই দাবিকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও দলের পেশাদার শাখার ভারপ্রাপ্ত শশী তারুর এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। মহুয়া টুইটে বলেন, এই ব্যাতিক্রমী পরিস্থিতিতে অর্থবর্ষ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত জুন পর্যন্ত। পিছানো হোক জরুরি ঋণ শোধ, বকেয়া মেটানোর সময়সীমাও। কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা বলেন, ‘‘দেশ জুড়ে সিএ-দের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কাছে অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার মেয়াদ অন্তত এক মাস বাড়ানোর আর্জি জানাচ্ছি।’’ তাঁর দাবি, এতে স্বস্তি পাবেন পেশাদারেরা। সুবিধা হবে সংস্থাগুলির। অর্থনীতিতে নগদ জোগানোর কাজেও সময় পাওয়া যাবে। মিলিন্দ জানান, আমেরিকা সম্প্রতি কর ও রিটার্ন জমার সময় ৯০ দিন পিছানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে।
দাবি উঠেছে, প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ নির্মলার মাধ্যমে এই প্রস্তাব পেশ করতে পারে মন্ত্রিসভার কাছে। যাতে চলতি অর্থবর্ষের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষ শুরু হয় ১ মে থেকে। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, অর্থবিল এখনও সংসদে পাশ হয়নি। ফলে এই প্রস্তাব কার্যকর করা যেতে পারে ওই বিলের সংশোধনী হিসেবে। অথবা অধ্যাদেশ জারি করেও তা করা যেতে পারে। সব পক্ষেরই দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশই কর সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে এ ভাবে সুরাহা দিয়েছে নাগরিকদের। কারণ, করোনা সংক্রমণ এড়াতে স্তব্ধ রাখতে হচ্ছে জনজীবন। ফলে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বা কর জমার মতো কাজও বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই। তারুরের টুইট, ‘‘আমি সিএ নই। কিন্তু সিএ ও কংগ্রেসের পেশাদার শাখার সকলের তরফে কর ও রিটার্ন জমার জন্য চলতি অর্থবর্ষের সময়সীমা শিথিলের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy