এ বার দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা উদ্বৃত্ত সম্পত্তি কাজে লাগিয়ে আর্থিক হাল ফেরাতে উদ্যোগী এয়ার ইন্ডিয়া। সেই কারণেই সুষ্ঠু ভাবে ওই সব সম্পত্তি কাজে লাগিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল বিল্ডিংস কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড (এনবিসিসি)-কে।
জোট বেঁধে এই কাজ শুরু করতে নয়াদিল্লিতে এনবিসিসি-র সঙ্গে সম্প্রতি সমঝোতাপত্র সই করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমানমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু ও কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। ইতিমধ্যেই ১০৬টি সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে সংস্থা। লক্ষ্য, ওই সব সম্পত্তি পরবর্তী কালে ভাড়া বা লিজ দিয়ে অথবা বিক্রি করে ধুঁকতে থাকা সংস্থার জন্য অর্থের সংস্থান করা। এই বাবদ বাড়তি ৫ হাজার কোটি টাকা ঘরে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা সংস্থার। এ জন্য ১০ বছরের সময়সীমাও স্থির করা হয়েছে।
এ দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তির পরে এ দিন বিএসই-তে এনবিসিসি-র শেয়ার দর এক ধাক্কায় বেড়ে যায় ৫.৪৭%। প্রতিটি শেয়ারের দাম ছোঁয় ৮৭৭.৬০ টাকা।
পড়ে থাকা সম্পত্তির খতিয়ান দিতে মধ্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সাত তলা অফিসের উদাহরণও দিয়েছে সংস্থার একটি সূত্র। কোনও এক সময়ে বহু কর্মী এখানে কাজ করতেন। তবে পরবর্তী কালে অনেকেই অবসর নিয়েছেন, কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন বা ছাঁটাই হয়েছেন। ফলে, ওই সাত তলা অফিসের বেশির ভাগটাই খালি। প্রায় একই ছবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার বিভিন্ন অফিসে। বহু অফিস, সমবায় আবাসন ও জমি সঠিক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। এনবিসিসি-র সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার হাত মেলানোর লক্ষ্যই ওই সব সম্পত্তি চিহ্নিত করা। গত কয়েক বছর ধরেই এ ধরনের সম্পত্তি চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই বিমান সংস্থার এক মুখপাত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy