পুণেতে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কেন্দ্রের অংশীদারি ধাপে ধাপে ৫১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার জন্য আর্জি জানাল ওই ব্যাঙ্কগুলিই। এই লক্ষ্যে ব্যাঙ্ক বিনিয়োগ কমিটি গড়ারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
পুণেতে দু’দিন ধরে চলা ‘ব্যাঙ্কিং রিট্রিট’-এ অংশ নিয়েছেন দেশের সমস্ত সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তারা। শনিবার সেই মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভনর্র রঘুরাম রাজন। কেন্দ্রের কাছে সিংহভাগ অংশীদারি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব উঠে এসেছে সেই আলোচনাতেই।
কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা সচিব হাসমুখ আধিয়া জানিয়েছেন, “বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকেই ওই প্রস্তাব পেয়েছি আমরা।” তাঁদের পরামর্শ, এ জন্য ব্যাঙ্ক বিনিয়োগ কমিটি তৈরি করে প্রথমে সরকারি লগ্নিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক সেখানে। আধিয়ার দাবি, “বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র।”
উল্লেখ্য, সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরকারি মালিকানা ৫২ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা গত মাসে ব্যাঙ্ক কর্তাদের বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকারই। বাসেল-থ্রি নীতি মানতে গেলে ২০১৮ সালের মধ্যে ওই ব্যাঙ্কগুলিতে ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা পুঁজি জোগাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার বদলে সরকারি অংশীদারি ৫২ শতাংশে নামিয়ে এনে অন্তত ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা বাজার থেকে তোলার পরামর্শ দিয়েছিল তারা।
একই সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলির আর্জি, ব্যবসার বাস্তবের কথা মাথায় রেখে কৃষকদের ঋণ মকুবের মতো রাজনৈতিক ঘোষণা বন্ধ করুক কেন্দ্র। ব্যাঙ্ক পরিচালনায় কোনও রকম হস্তক্ষেপ না-করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদীও। পরামর্শ দিয়েছেন, সফটওয়্যার ব্যবহার, বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো ক্ষেত্রে জোট বেঁধে কাজ করার। রাজনের প্রস্তাব, অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরাতে ১ বছরের মধ্যে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনে নিয়ম সংশোধন করুক কেন্দ্র। জেটলি সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ডাক দিয়েছেন ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy