টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বিগত এক দশকে শহর কলকাতায় যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্যের শিক্ষার মানচিত্রকে আমূল বদলে দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১২ সালে রাজ্যের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পথ চলা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সঠিক পথ দেখিয়ে দেশের জন্য ভবিষ্যতের কারিগর তৈরি করা। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকেই আজ এই প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি রাজ্য পেরিয়ে দেশের সীমানা ছুঁয়েছে। শুধু মাত্র শিক্ষার পরিসরেই নয়, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পমহলের সঙ্গে যে ভাবে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এই প্রতিষ্ঠান, তা এক কথায় সত্যিই অনস্বীকার্য। আর সেই কারণেই শিক্ষার গুণমানের দিক থেকে হোক কিংবা শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আজ বিশ্বের দরবারে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেষ্ঠত্ব:
শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাবরই নিজেদের প্রথম স্থানে ধরে রাখার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান সারা বছর ধরেই শৃঙ্খলা মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কোর্সের ক্ষেত্রেও রয়েছে একাধিক বিকল্প। ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমসাময়িক কোর্সে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয় এখানে। এই প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় কারণ হল এখানকার শিক্ষকমহল, দক্ষ অনুষদ এবং গবেষণা-ভিত্তিক পাঠ্যক্রম। সেই শুরুর সময় থেকেই এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে তারা ব্যবহারিক প্রয়োগের সঙ্গে তাত্ত্বিক জ্ঞানকে একত্রিত করতে পারে।
শিক্ষা এবং শিল্পের সংমিশ্রণ:
শিল্প এবং শিক্ষার মধ্যে ব্যবধান পূরণের জন্য টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বিভিন্ন নামী সংস্থার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই সহযোগিতার ফলে শিল্প বিশেষজ্ঞদের দ্বারা শিল্প-প্রাসঙ্গিক পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, ইন্টার্নশিপ, কর্মশালা, এবং অতিথিদের বক্তৃতার মতো জটিল বিষয়গুলিও যেন সহজ হয়ে উঠেছে। এই ধরনের শিল্প সংমিশ্রণের পদ্ধতিগুলিকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদানের পাশাপাশি তাদের নির্বাচিত ক্ষেত্রগুলিতে সঠিক জ্ঞান অর্জনে এবং কার্যকরভাবে শিল্পের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
নিয়োগ:
প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে কোর্সের শেষে ভাল কোনও সংস্থায় নিজেদের চাকরি সুনিশ্চিত করা। বিগত এক দশক ধরে শিক্ষার্থীদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছে টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট প্লেসমেন্ট সেল রয়েছে যা সক্রিয়ভাবে শিল্পপতিদের এবং নিয়োগকারীদের সঙ্গে জড়িত। যারা ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট, কেরিয়ার ফেয়ার, এবং প্লেসমেন্টের আগে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এই উদ্য়োগগুলির ফলে হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন নামী সংস্থায় নিজেদের জায়গা পাকা করতে সক্ষম হয়।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা:
টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম থেকেই শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলায় বিশ্বাসী। এই প্রতিষ্ঠানটি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা স্থাপন করেছে। যার ফলে শিক্ষার্থী ও অনুষদ বিনিময়, যৌথ গবেষণা এবং সহযোগিতামূলক প্রকল্পের মতো বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে পড়ুয়ারা। এই ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বব্যাপী সর্বোত্তম অনুশীলনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে। যা আদতে তাদের সামগ্রিক শিক্ষার যাত্রাকে উন্নত করার পাশাপাশি বিশ্ব মানচিত্রেও প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করছে।
গবেষণা ও উন্নয়ন:
টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের মূল ভিত্তিই হল গবেষণা ও উন্নয়ন। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শিল্প বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে এবং বিখ্যাত জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করতে উৎসাহিত করে। একটি গবেষণা-ভিত্তিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে, বরাবরই এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে এবং সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং উদ্ভাবনকেও উৎসাহিত করে চলেছে।
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ও উদ্ভাবন:
শিক্ষার্থীদের মননে লুকিয়ে থাকা উদ্যোক্তা সত্ত্বা এবং উদ্ভাবনের মানসিকতাকে সযত্নে লালন করে এই প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে, প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতে এবং সর্বোপরি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশে বিশেষভাবে সহায়তা করে টেকনো ইন্ডিয়া। এই বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তাদের সম্পদ, নির্দেশিকা এবং পরামর্শ প্রদান করে, স্টার্টআপ এবং উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের যাত্রায় সহায়তা করে। বিভিন্ন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচী, ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ইন্ডাস্ট্রি যোগের মাধ্যমে, এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনের চেতনা গড়ে তোলে। যা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের ধারণাগুলিকে সফল উদ্যোগে রূপান্তর করতে সক্ষম করে।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:
শুধু মাত্র পড়াশুনাই নয়, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে এই প্রতিষ্ঠান। সর্বোপরি জোর দেওয়া হয় সামগ্রিক উন্নয়নের উপরেও। এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অত্যাধুনিক খেলাধুলার সমস্ত সুযোগ-সুবিধা। পাশাপাশি, বছরের বিভিন্ন সময়ে আন্তঃকলেজ টুর্নামেন্ট এবং অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। তা ছাড়াও দলগত কাজ, ব্যক্তিত্ব তৈরি এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে এই প্রতিষ্ঠান। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক উৎসব, শিল্প প্রদর্শনী এবং সাহিত্য প্রতিযোগিতারও। যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, শিল্প সত্ত্বা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উন্নতিসাধনে সহায়তা করে।
এই কারণগুলির জন্যই বর্তমানে এই রাজ্যের শিক্ষার পরিসরে উৎকর্ষের শীর্ষে অবস্থান করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সামগ্রিক শিক্ষার প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি শিল্প-চালিত পদ্ধতি, এই দু’য়ের মিশেলে এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তব প্রেক্ষাপটের জন্য তৈরি করে দেয়। সর্বোপরি নিজেদের নির্বাচিত ক্ষেত্রে সফল পেশাদার হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় শিক্ষার্থীরা।
বিশদে জানতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে: www.technoindiauniversity.ac.in / www.technoindiagroup.com
অথবা ফোন করুন: ৯৮৩৬৫৪৪৪১৯/ ৯৮৩৬৫৪৪৪১৮ / ৯৮৩৬৫৪৪৪১৭ / ৯৮৩৬৫৪৪৪১৬
এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়’এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy