অনিয়মিত জীবনধারা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন ইত্যাদি কারণে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাবের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও দেখা যাচ্ছে, কোনও মাসে ঋতুস্রাব বন্ধ, আবার কোনও কোনও মাসে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হচ্ছে। বিশেষ করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এই মাসিকের গোলযোগের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার প্রাদুর্ভাবও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঋতুচক্রের এই সমস্যা নিয়ে আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এইচপি ঘোষ হাসপাতালের অবস্ট্রাকটিভ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চিকিৎসক সুধীর অধিকারী।
বিশদে জানতে নীচের ভিডিয়োটি দেখুন:
ঋতুচক্রের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় এইচপি ঘোষ হাসপাতালের অবস্ট্রাকটিভ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চিকিৎসক সুধীর অধিকারী
চিকিৎসক সুধীর অধিকারীর মতে, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ হচ্ছে, ‘পিসিওডি’ বা ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজ়িজ়’-এর কারণে হচ্ছে। সাধারনত ওভারি বড় হয়ে যায় এবং সর্ষের দানার মত কিছু সিস্ট থাকে, যা মা ও বাচ্চার জন্য একটু ক্ষতিকর। কিন্তু এই ‘পিসিওডি’ নিয়ে অনেকের অনেক ভুল ধারণা আছে। ঋতুস্রাবের সমস্যা নিয়ে অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “অনেকেই ঋতুস্রাবের সমস্যা অসহ্য পেটে যন্ত্রণা অনুভব করেন, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। ঋতুচক্রজনিত সমস্যা নিয়ে ভয় না পেয়ে প্রয়োজন বুঝে, চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে এই সমস্যা সম্পূর্ণভাবেই নিরাময় করা সম্ভব এবং ভবিষ্যতেও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম ঝুঁকি থাকে না।”
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: https://hpghoshhospital.com/
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।