সিম্মি সরকার
জীবন যদি থাকে টেকনিকালারে, তা হলে বাইরের সবটাই যেন রঙিন মনে হয়। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনে ঢাকা থাকে গ্ল্যামার। অথচ সেই ইন্ডাস্ট্রিতে পাকাপাকি ভাবে নিজের জায়গা গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন কঠিন পরিশ্রম। এবং সেই পরিশ্রমের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দরকার টিকে থাকার লড়াই। অনেকেই সেই চিরাচরিত গ্ল্যামারের আলোয় ছিটকে যান দূরে। কেউ কেউ অবশ্য ছুঁয়ে ফেলেন সফলতার শিখর। সিম্মি সরকার তেমনই এক জন। যাঁর সফলতার কাহিনি নিঃসন্দেহে যে কোনও মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে।
এক ছোট্ট শহর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সিম্মি। সঙ্গী ছিল একরাশ স্বপ্ন — ফ্যাশন ও গ্ল্যামার জগতে নিজের পরিচিতি তৈরি করার। শুরুর সময়টা মোটেও মসৃণ ছিল না। সিম্মি কিন্তু দমে যাননি। বহু চড়াই-উৎরাই পার করে স্বপ্নের পথে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েছেন।
সাফল্যের খিদে ঘুমোতে দিত না সিম্মিকে। তাকে সঙ্গী করেই সিম্মি ছুঁয়ে ফেলেছেন তাঁর স্বপ্নের প্রথম স্তর। সম্প্রতি কলকাতা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ফ্রিল্যান্স মডেল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। মজার বিষয় হল, সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই এই ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা উঠে আসে। যে কারণে প্রাথমিক ভাবে সিম্মি নিজেও দ্বিধায় ছিলেন। কোনও প্রোজেক্ট বেছে নেওয়ার আগে বার বার তার সম্পর্কে খোঁজ নিতেন। খতিয়ে দেখতেন, কারা এর সঙ্গে যুক্ত। ঠিক সেই সময়েই তিনি ‘দ্য ক্যাপচার’–এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একাধিক স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন সিম্মি।
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সিম্মি বলেন, “এই এজেন্সি আমাকে পুরোপুরি ভাবে তৈরি করেছে। গ্রুমিংয়ের পাশাপাশি আমার কথোপকথন ও ব্যক্তিত্বের উপরেও জোর দিয়েছে। নামকরা দৈনিক পত্রিকা ছাড়াও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কভারেজ দিয়েছে। যার ফলে আমার কাজ পেতে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। এক কথায় এই এজেন্সি সব দিক দিয়েই গাইড করেছে আমাকে।” পরপর বেশ কয়েকটি শ্যুটে সিম্মির কাজ বিপুল ভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর স্বপ্ন, টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সফল অভিনেত্রী হওয়া।
নিজের ভুলভ্রান্তির উপর প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন সিম্মি। এবং নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে অনবরত এক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিজের কর্মজীবন নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী, আগ্রহী এবং উচ্ছ্বসিত। নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সিম্মি হয়ে উঠেছেন একজন সফল মডেল।
তবে এখানেই শেষ নয়। এখনও আরও অনেকটা পথ চলা বাকি সিম্মির। এখনও বহু স্বপ্নের সিঁড়ি ওঠা বাকি। সেই স্বপ্ন নিয়ে কী বলছেন সিম্মি? মডেল-কন্যার কথায়, “কলকাতার ফ্যাশন ও সিনেমা জগতে নিজেকে তুলে ধরতে মুখিয়ে আছি। আমি আশাবাদী যে, সুযোগ এলে আমি নিজের সেরাটা দিতে পারব। তবে এক জন সফল মডেল হওয়ার পিছনে ‘দ্য ক্যাপচার' -এর ভূমিকা অপরিসীম। তাই এই এজেন্সির কর্ণধার অমলকুমার দাসের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। রুপোলি পর্দায় আমার উপস্থিতি হবে হিরের মতোই উজ্জ্বল, এমনটাই স্বপ্ন আমার।”
আর পাঁচ জন মডেলের মতো সিম্মিরও ভালবাসার জায়গা লাইম লাইট। রোজ নিয়ম করে অভিনয়ের অনুশীলন সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেই দিন কাটছে তাঁর। তিনি মনে করেন, বাধা এলেও, কাজে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। আর সেই চেষ্টাটা চালিয়ে যাওয়া খুব জরুরি। ছোট শহর থেকে এসে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করে চলেছেন এবং অনেকের কাছেই হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা। তাই আজ তিনি প্রকৃতপক্ষেই এক জন ‘সর্বজয়া’।
ওয়েবসাইট: agencythecapture.com
এই প্রতিবেদনটি 'উই মেক আস' -এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy