প্রতীকী ছবি
বলা হয় বাইক মানেই গতি। সেই গতির তালে নিজেকে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া! বাইকের স্টাইলেই ফুটে ওঠে চালকের ব্যক্তিত্ব। সেই কারণেই নতুন জেনারেশন বার বার বেছে নিচ্ছে এমন বাইকে যার দেখতে ভাল, স্টাইলিস্ট, সঙ্গে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফিচার। এই বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখেই তরুণদের জন্য এই প্রথম স্পোর্টি, নজরকাড়া এবং নানা ফিচারে ঠাসা মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হল বাজাজ — পালসার এনএস১২৫। বিগত কয়েক বছর ধরেই বাইকের দুনিয়ায় অন্যতম নজির স্থাপন করেছে পালসারের এনএস সিরিজের বাইকগুলি। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ১২৫ সিসির এই গাড়িটি। মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে ভারতের ১২৫ সিসির বাইকগুলির মধ্যে এই বাইকটিই সর্বসেরা! ঠিক কোন কোন বিষয়গুলি আলোচনার শীর্ষে রয়েছে? কে কী বলছেন এই সম্পর্কে —
দেখতে এক নম্বর
পালসার এনএস-এর প্রতিটি বাইকই এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা দেখে মনে হয়, এই বাইক বেপরোয়া, একরোখা। যেন সাক্ষাৎ স্ট্রিটফাইটার। সামনের উল্ফ আই হেডলাইট আর পেছনের ইনফিনিটি ট্যুইন-স্ট্রিপ এলইডি টেইল ল্যাম্পস — এই দু’য়ের মিশেলে এর যান্ত্রিক রূপ যেন নতুন করে নজর কেড়েছে। অন্য দিকে পারফরম্যান্স পেরিমিটার ফ্রেম এবং নজরকাড়া বেলি প্যান যে কোনও ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। বাইকের এই লুকস প্রসঙ্গে ফারাজ খান জানাচ্ছেন, “আমার এক গায়ক বন্ধু তার পরবর্তী মিউজিক ভিডিয়োতে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই বাইকটি ব্যবহার করতে চান। এতে নাকি ভিডিয়োটি চরিত্রের তারুণ্য ঝলসে উঠবে।”
পাওয়ার (শক্তিতে) এক নম্বর
দেখতে যতই দারুন হোক না কেন, পাওয়ার না থাকলে যে কোনও চেহারার মূল্য শূন্য। এনএস১২৫ সম্পর্কে এদিক থেকে নিশ্চিন্ত থাকাই যায়। কারণ এটি আসে শক্তিশালী ১২৫ সিসি ডিটিএস ইঞ্জিনের সঙ্গে। এর ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড (এফআই) যুক্ত মোটর, বাইককে দেয় শক্তিতে ভরপুর ৮.৮২ কিলোওয়াট (১২ পিএস)-র পাওয়ার, ১১এনএম-এর উন্নত টর্ক, উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রার অভিজ্ঞতা, চমৎকার পিক আপ আর সবসময় সবার থেকে এগিয়ে থাকার ভরসা। এই প্রসঙ্গে আরেক উপভোক্তা নরেন্দ্র তিওয়ারি জানাচ্ছেন, “নিরুত্তেজ বাইকযাত্রায় কোনওকালেই আমার আগ্রহ ছিল না। কিন্তু যখন এনএস ১২৫ চড়লাম, আমি সঙ্গে সঙ্গে কিনে ফেললাম। এখন আমি এর পাওয়ার, পিক আপের সঙ্গে রোজ দারুন মজা উপভোগ করি।”
ফিচারেও এক নম্বর
এনএস১২৫, এই শ্রেণিতে পেরিমিটার ফ্রেমযুক্ত এক মাত্র বাইক। যার অর্থ, সোজা রাস্তায় চলা হোক বা দ্রুত মোড় ঘোরা, বা এঁকেবেকে চালিয়ে শহরের ব্যস্ত রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম পার করা — সব রকম পরিস্থিতিতেই অটল নিয়ন্ত্রণ আর এক গতিতে চলার সুনিশ্চিত ভরসা পায় চালক। এর মনো-শক নাইটক্স রিয়র সাসপেনশন দেয় যে কোনও রাস্তায় শক্ত ভাবে মাটি আঁকড়ে মসৃণ গতিতে চলার নিশ্চয়তা। সঙ্গে রয়েছে সামনের দিকের ২৪০ মিলিমিটার পেটাল ডিক্স ব্রেক, অ্যান্টি-স্কিড ব্রেকিং সিস্টেম; যা চালককে দেয় বাইকের উপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। আরও এক ক্রেতা রবিন আব্রাহাম জানাচ্ছেন, “অনেক মোটরসাইকেলই রয়েছে যা সব রকম সুবিধা যুক্ত প্যাকেজ দিয়ে থাকে। কিন্তু চালানোর সময় দেখা যায়, কোনও না কোনও অসুবিধা হচ্ছেই। সেই দিক থেকে এনএস১২৫, পারফরম্যান্স, ফিচার্স এবং চেহারা সব দিক থেকে সত্যিই সম্পূর্ণ একটি প্যাকেজ।”
এই সুন্দর দেখতে, একাধিক নজরকাড়া ফিচারে সমৃদ্ধ, পাওয়ারে ভরপুর মোটরসাইকেলটি কি সমস্ত ১২৫ সিসি বাইকের মধ্যে এক নম্বর? সম্ভবত হ্যাঁ। কিন্তু আমাদের মুখের কথায় বিশ্বাস করবেন না। আজই আসুন নিকটবর্তী কোনও বাজাজ শোরুমে বা লগ অন করুন https://www.bajajauto.com/bikes/pulsar/pulsar-ns125-এ এবং একটি টেস্ট রাইড বুক করে নিজেই যাচাই করে নিন আসল সত্যিটা।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি ‘বাজাজ পালসার’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy