রোগীর সঙ্গে চিকিৎসক মুন চট্টরাজ।
প্রাচীন কাব্য হোক বা আধুনিক সময়ের চোখধাঁধানো ছবি, মানুষের সৌন্দর্যে বরাবরই উঠে এসেছে দাঁতের কথা। সেই পুরনো সময় থেকে বর্তমান সমাজে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মুক্তোর মতো ঝকঝকে সাদা ও সুন্দর দাঁতের চাহিদা ছিল ও থাকবে। আসলে ভুবনভোলানো হাসি, সর্বদাই মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। দাঁতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার সেই গুরুদায়িত্বই কাঁধে তুলে নিয়েছেন কলকাতার প্রখ্যাত দন্তচিকিৎসক মুন চট্টরাজ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে আমূল বদল এসেছে। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা বাসা বাঁধছে শরীরে। সেই সমস্যাগুলিকে দূরে সরিয়ে দিয়েই মানুষ চাইছে আরও সুন্দর হয়ে উঠতে। তবে বর্তমানে, সৌন্দর্যের সংজ্ঞা যে শুধু মাত্র ত্বক, চুল এবং প্রসাধন ব্যবহারে সীমাবদ্ধ নেই, তা বোধ হয় কারোরই অজানা নয়। বরং এই প্রজন্মের কাছে সেই সচেতনতা আরও বেড়েছে। শরীরের আর পাঁচটি অঙ্গের মতো, দাঁতের সৌন্দর্যও প্রাধান্য পাচ্ছে রোজকার জীবনযাত্রায়।
দাঁতে ব্যথা, মাড়ি থেকে অনবরত রক্তপাত, নড়বড়ে দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে রোগীরা নিয়মিত ভিড় জমাচ্ছেন চিকিৎসকের কাছে। তবে সেই সব কিছু পেরিয়ে, দাঁতের সাজ নিয়ে বেশ উৎসাহী অনেকেই। যে তালিকায় রয়েছেন তারকারও। মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে জন্মগত দাঁতের গঠনে পরিবর্তন এনে তাক লাগিয়ে দিতে চাইছেন তরুণ থেকে বয়স্করা। নতুন প্রজন্মকে সেই পথই দেখাচ্ছেন চিকিৎসক মুন চট্টরাজ। তবে তা আর পাঁচ জন চিকিৎসকের মতো প্রথাগত পদ্ধতিতে নয়। বরং যন্ত্রণাহীন দাঁতের চিকিৎসাতে ভর করেই দন্তচিকিৎসার সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছেন চিকিৎসক মুন চট্টরাজ।
কী ভাবে করা হয় এই চিকিৎসা? উত্তরে চিকিৎসক জানাচ্ছেন, “যেহেতু দাঁতের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি প্রায়শই রোগীর উদ্বেগ ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে, সেহেতু বিশেষ বেদনানাশক পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলে ‘কনসাস সিডেশন’। সাধারণ পদ্ধতির সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার মূল পার্থক্য হল, চিকিৎসা চলাকালীন রোগী সচেতন থাকেন এবং কোনওরূপ ব্যথা অনুভব করেন না।”
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই পদ্ধতি। বিদেশে হামেশাই এই ধরনের প্রক্রিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে। কলকাতাতে সেই পদ্ধতিরই জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন চিকিৎসক মুন চট্টরাজ। কলকাতায় তাঁর নেতৃত্বে চলা এ.এম. মেডিক্যাল সেন্টারে প্রতিদিনই কোনও না কোনও রোগী আসেন তাঁদের দাঁতের চিকিৎসা করাতে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত এই পদ্ধতির ফলে রোগীরা ভয় পান না, বরং আশ্বস্ত থাকেন। শুধু তাই নয়, এই পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রয়োগের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই সংশ্লিষ্ট রোগী সাধারণ জীবনযাপনে ফিরে আসতে পারেন। যা অন্যান্য ক্ষেত্রে অসম্ভব।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক মুন বলেন, “দাঁতের বিভিন্ন চিকিৎসা রয়েছে। প্রতিটি চিকিৎসার ক্ষেত্রেই রোগীকে ব্যথা অনুভব করতে হয় না। যেমন, রুট ক্যানাল পদ্ধতির ক্ষেত্রে আমরা হার্ড টিস্যু লেজার ব্যবহার করি। যা সাধারণ রুট ক্যানাল পদ্ধতি থেকে আলাদা। এই প্রক্রিয়ায় ক্যানাল স্টেরিলাইজেশন করা হয়। এই পদ্ধতিতে রোগীর যন্ত্রণা অনুভব হয় না। প্রথাগত রুট ক্যানালের থেকে এই পদ্ধতিতে সাফল্য অনেক বেশি।”
বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দাঁতের চিকিৎসার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন মুন চট্টরাজ এবং তাঁর দল। চিকিৎসক মুনের নেতৃত্বেই এ.এম. মেডিক্যাল সেন্টার কলকাতার এক মাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে এমন আধুনিক পরিষেবা পাওয়া সম্ভব। এ.এম. মেডিক্যাল সেন্টার আসলে প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, যা অন্যান্য সাধারণ চিকিৎসা কেন্দ্রের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দাঁতের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এখানে বিশ্বব্যাপী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও চিকিৎসা ব্যবস্থার অনুশীলন জারি রেখেছেন তিনি।
সাফল্যের এমন পথ চলায় আশাবাদী মুন চট্টরাজও। আগামী দিনে তাঁর লক্ষ্য কী? চিকিৎসক জানাচ্ছেন, “দাঁতের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যন্ত্রণাহীন পদ্ধতিকে মানুষের সামনে তুলে ধরার যে লক্ষ্য আমাদের ছিল, আমি তা পূরণ করতে পেরেছি। বহু মানুষ এই পদ্ধতির কারণে উপকৃত হয়েছেন। পাশাপাশি, আমরা দাঁতের যে কোনও চিকিৎসার ক্ষেত্রেই চেষ্টা করি রোগীকে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে রেখে তা করা সম্ভব। যেমন এক্স-রে’র বদলে আমরা ডিজিটাল ইমেজিং ব্যবহার করি। অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রেও মিনিমাল ইনভেসিভ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয় যাতে রোগীর যন্ত্রণা কমানো যায়। বলা বাহুল্য, এই কারণেই রোগীরা আমাদের কাছে নিরাপদ অনুভব করেন।”
আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে ভাবে সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় জুড়ে যাচ্ছে দাঁত, সেই জায়গায় আগামী সময়ে নিয়মিত জীবনযাপনে আরও ভূমিকা নিতে চলেছে এ.এম. মেডিক্যাল সেন্টার। নেতৃত্বে থাকবেন চিকিৎসক মুন চট্টরাজ।
যন্ত্রণাহীন পদ্ধতি হোক বা দাঁতের চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্ন, যোগাযোগ করুন এ.এম. মেডিক্যাল সেন্টারে।
ফোন নম্বর: ৯২৩০০৬০২৮৩
এই প্রতিবেদনটি ‘এ.এম. মেডিক্যাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy