জীবনে দ্রুত সফলতা অর্জন করতে কোন কোন গ্রহ সাহায্য করে
মানুষ সারা জীবন সাফল্যের পিছনে দৌড়য়। সাফল্য, ব্যর্থতা তাকে চিন্তিত রাখে। কেউ কেউ অনেক চেষ্টা করেও সফল হয় না। আবার কারও ক্ষেত্রে অল্প কিংবা বিনা চেষ্টাতেই সাফল্য ধরা দেয়। কেন এমনটা হয়? সেই বিষয়েই দিশা দেখাতে পারে জ্যোতিষশাস্ত্র। জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে বলে দেওয়া যায়, কোন গ্রহের কোন অবস্থান আমাদের কৃতিত্ব অর্জনে সাহায্য করবে। জীবনে কোন সময়ে প্রশংসা কিংবা উন্নতির সুযোগ রয়েছে, এক জন দক্ষ জ্যোতিষশাস্ত্রবিদ গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান দেখে তা আন্দাজ করতে পারেন।
কেউ কেউ জীবনের শুরুতেই সহজে সাফল্য পেয়ে যায়। কেউ বা জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে সাফল্যের মুখ দেখে। জীবনের শুরুর দিকে পাওয়া সাফল্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
এই বিষয়গুলো ঠিক কী, তা নিয়েই এই আলোচনা এগোবে।
সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান: জীবনের শুরুর দিকে সাফল্য পেতে গেলে সূর্য ও চন্দ্র, উভয়ের অবস্থান ভাল থাকতে হবে। দু’টিই আলোকিত গ্রহ। তাই এরা আমাদের জীবনকেও আলোকিত করে। যাদের ক্ষেত্রে সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান ভাল, তারা জীবনে কী করতে চায় তা নিয়ে খুব স্পষ্ট ধারণা রাখে। সূর্য আত্মার প্রতিনিধিত্ব করে এবং চন্দ্র মনের। তাই এই দুই গ্রহ যদি একটি চিহ্ন বা নক্ষত্রে একসঙ্গে অবস্থান করে, তা হলে আত্মা ও মন একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং তারা একসঙ্গে কাজ করে। তবে সূর্য মেষ রাশিতে এবং চন্দ্র তুলা রাশিতে থাকলে আত্মা এবং মন আলাদা আলাদা দিকে গমন করে বলে মনে করা হয়। এক দিকে সূর্য (আত্মা) মেষ রাশিতে কর্তৃত্ব করে অন্যদের শাসন করতে চায়, অন্য দিকে চন্দ্র (মন) তুলা রাশিতে ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের সেবা করতে চায়। এর ফলে আত্মা এবং মনের একটা দ্বন্দ্ব সব সময়ে চলতে থাকে। যত দিনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এই দ্বন্দ্বের সমাধান করতে চায় এবং নিজের জীবনের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে পারে, তত দিনে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। সূর্য এবং চন্দ্র সুস্থানে এবং সু-উচ্চতায় না থাকলেও জীবনে কোন পথ বেছে নিতে হবে, তা জানতে সময় লাগে।
এ ছাড়া সূর্য বাবার প্রতিনিধিত্ব করে এবং চন্দ্র মায়ের। তাই জন্মপত্রিকায় সূর্য এবং চন্দ্র ভাল জায়গায় থাকলে কারও জীবনে চলার পথে মা-বাবা দু’জনেই সহায়ক হন। সে যে পথই বেছে নিক, বাবা-মায়ের সমর্থন সব সময়ে তার সঙ্গে থাকবে।
লগ্নপতির অবস্থান: জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্যের জন্যে এই লগ্নপতির অবস্থানও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভাল জীবন পেতে গেলে জন্মপত্রিকায় কমপক্ষে দু’টি গ্রহকে ভাল অবস্থানে থাকতে হবে। অর্থাৎ চন্দ্র এবং লগ্নাধিপত, দুই-ই সুস্থানে থাকতে হবে। যেমন কর্কট রাশির জাতকের জন্য এই দুটোই চন্দ্র হয়। চন্দ্র মনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং লগ্নাধিপতির অবস্থান জীবনের পথ দেখায়। জন্মপত্রিকায় তারা সুস্থানে স্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্পষ্ট ধারণা থাকে সে জীবনে কী করতে চায়। এ ক্ষেত্রে মনও আশাবাদী ভাবে সেই পথকেই অনুসরণ করে। লগ্নাধিপতি সুস্থানে স্থাপিত না হলে জীবনে সঠিক পথ বেছে নিতে একটু সময় লাগে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্য পেতেও একটু দেরি হয়।
রাহুর অবস্থান: রাহু বিভ্রমের প্রতিনিধিত্ব করে বলে এর ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাহু জন্মপত্রিকার প্রথম ঘরে অবস্থান করলে সেই ব্যক্তি জীবনে অনেক বড় কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে। তবে কোন পথে জীবনে সাফল্য আসবে, তা নিয়ে একটা বিভ্রম থাকে। সাফল্য কী ভাবে আসবে, সে বিষয়েও সন্দেহ থেকে যায়। চিন্তাভাবনায় বিভ্রান্তির কারণে সঠিক পেশা বাছাই করতে সময় লাগে। এর মধ্যেই ওই ব্যক্তি অন্য কোনও পেশায় যোগ দিয়ে দেয়। কারও জন্মছকে উন্নত রাহু অবস্থান করলে জাতক বা জাতিকা খুবই দৃঢ়চেতা হয় এবং জীবনে দ্রুত সাফল্য পায়।
শনির অবস্থান: শনি জীবনে কোনও বিলম্বের প্রধান কারণ এবং এই গ্রহ কেরিয়ারের দশম ঘরে বা ঊর্ধ্ব গমনকে প্রভাবিত করলে জীবনে দেরিতে সাফল্য আসে। অর্থাৎ ৩০ বছর বয়সের পরে। লগ্ন বা দশম ঘরে শনি অবস্থান করলে সেই ব্যক্তিকে কোনও কিছু অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এবং অধ্যবসায় থাকতে হয়। সেই অধ্যবসায় সাধারণত ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ফল দেখায়। তাই শনি প্রথম বা দশম ঘরের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেই ব্যক্তি কিশোর বয়সে এবং ২০ বছর বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রমেরই সম্মুখীন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
উপচয় ঘর: উপচয় ঘর হল লগ্নে তৃতীয়, ষষ্ঠ এবং একাদশতম ঘর। এই ঘরগুলোতে অবস্থিত গ্রহ সময়ের সঙ্গে উন্নত হয় এবং এদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এর মানে তারা ৩০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সেরা ফল দেওয়া শুরু করে। তত দিন পর্যন্ত জীবন কঠিন এবং কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসয়ের মধ্যে দিয়ে যায়। তাই যদি এক জন ব্যক্তির উপচয় গৃহে গ্রহ থাকে এবং সে প্রাথমিক জীবনে শুধুমাত্র সেই গ্রহগুলির দশা অতিক্রম করে, তা হলে উচ্চতর গ্রহ হলেও ফলাফল আশানুরূপ হয় না। এই সব ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে এবং তার পরে ৩০ বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তা না হলে অন্য ঘরে অন্যান্য গ্রহের দশা বিচার করতে হবে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কঠোর পরিশ্রমের সুফল পেতে শুরু করবে।
মহাদশা: কোনও ব্যক্তির সারা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের দশা সম্পর্কে বলা যেতে পারে। যদি ভুল মর্যাদা বা উপাচার গৃহে ৩-৪টে গ্রহ থাকে, কিন্তু সেই ব্যক্তি কিশোর কিংবা ২০ বছর বয়সের মহাদশার কেন্দ্র বা ত্রিকোণ ঘরে একটা উচ্চতর গ্রহের অধীনে থাকে, তা হলে জীবনের প্রখম দিকে সে সাফল্য পেতে পারে। সচিন তেন্ডুলকর জীবনের প্রথম দিকে সূর্য ও চন্দ্রের মহাদশার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই তিনি সূর্যকে নবম ঘরে ১০ ডিগ্রিতে চন্দ্রকে ধনু রাশিতে পঞ্চম ঘরে উন্নীত করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি চন্দ্রের মহাদশার মধ্যে দিয়ে খুব অল্প বয়সে গমন করেন। তত দিনে স্কুল ক্রিকেটে নাম করে ফেলেছিলেন এবং জীবনের কোন পথে তিনি যাবেন, তা তখনই ঠিক করে ফেলেছিলেন। এমনই আর এক জনের উদাহরণ হল জাস্টিন বিবার। তাঁর তুলা রাশির পঞ্চম ঘরে বৃহস্পতি-চন্দ্রের সংযোগের সঙ্গে সবচেয়ে শক্তিশালী গজ-কেশরী যোগ সৃষ্টি করেছে। তাঁর প্রথম অ্যালবাম ২০০৯ সালের শেষের দিকে লঞ্চ হয় এবং তাঁর জুপিটার মহাদশা ফেব্রুয়ারি ২০১০-এ শুরু হওয়ার কথা ছিল। এই সব কিছুই গ্রহের অবস্থানের কারণে ঘটে থাকে।
এ ভাবেই জাতক-জাতিকার জন্মপত্রিকা বিচার করার মাধ্যমে জানা সম্ভব কোন ব্যক্তির জীবনে কী ভাবে সাফল্য আসতে পারে। এর জন্য কোনও বিচক্ষণ জ্যোতিষশাস্ত্রবিদের পরামর্শ নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ডা: সোহিনী শাস্ত্রী দেশের প্রখ্যাত জ্যোতিষশাস্ত্রবিদদের অন্যতম।
তাঁর সঙ্গে +91 91635 32538 / +91 90381 36660 নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
তাঁর সম্পর্কে বিশদ জানতে দেখুন: sohinisastri.com কিংবা facebook.com/drsohinisastri
জ্যোতিষশাস্ত্রের এমন বিবিধ বিষয়ে জানতে দেখুন: youtube.com/@dr.sohinisastribestastrolo2355
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy