আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেন
আমরা সবাই জানি শৈশব থেকে কৈশোর শিশুর স্বাস্থ্য নির্ভর করে বেশ কিছুটা তার জিনের উপরে। হ্যাঁ, কথাটি সঠিক হলেও, আরও বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যেগুলি কোনও শিশুর স্বাস্থ্য তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন সংশ্লিষ্ট শিশুর ডায়েট, পুষ্টি, তাকে কোন পরিবেশে কী ভাবে বড় করা হচ্ছে ইত্যাদি। এই বিষয়গুলির দিকে গুরুত্ব না দিলে পরবর্তীকালে শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যঘাত ঘটতে পারে। কিন্তু এই ব্যস্ত জীবনে শিশুর বৃদ্ধির সময়ে বেশ কিছু বিষয়ে খামতি থেকেই যায়। তা হলে উপায়!
উপায় রয়েছে আযুর্বেদে।বৃদ্ধ জীবক রচিত ‘কাশ্যপ সংহিতা’ কৌমারভৃত্যের প্রাচীনতম ও অন্যতম পাঠ্যপুস্তক। এর আটটি শাখায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বইতেই তুলে ধরা হয়েছে এমন এক পদ্ধতির কথা, যা কোনও শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দৃঢ় করে তুলতে পারে। এই পদ্ধতিটি হল সুবর্ণপ্রাশন — অর্থাৎ সোনাতেই লুকিয়ে রয়েছে শিশু স্বাস্থ্যের গুঢ় রহস্য।
‘কাশ্যপ সংহিতা’য় বর্ণিত সুবর্ণপ্রাশন একটি প্রাচীনতম এক সোনার ন্যানো ওষুধের প্রয়োগ। যার মূল লক্ষ্য হল শিশুদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে সুবর্ণপ্রাশন থেরাপি ব্যপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরাও শিশু পুষ্টির নেপথ্য সুবর্ণপ্রাশনের কথা তুলে ধরেছেন। যার ফলও মিলেছে চোখে পড়ার মতো। দেশের বিভিন্ন আয়ুর্বেদ কেন্দ্র জুড়ে প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় পরিচালিত হচ্ছে এই সুবর্ণপ্রাশন। বহু অভিভাবক তাদের সন্তানের পুষ্টির ও সুস্থতার জন্য সাহায্য নিচ্ছেন এই পদ্ধতির।
এই সুবর্ণপ্রাশন আসলে কী? সুবর্ণ শব্দের অর্থ স্বর্ণ। প্রাশন অর্থাৎ ভোজন। অর্থাৎ সুবর্ণপ্রাশনের আভিধানিক অর্থ হল স্বর্ণভোজন। তবে আক্ষরিক অর্থে কি স্বর্ণ ভোজন করা সম্ভব। আসলে সুবর্ণপ্রাশন হল একটি রসায়ন চিকিৎসা। যেখানে কলয়েডাল সোনার ধাতব সুক্ষ্ম কণা সুবর্ণভস্মে ব্যবহার করা হয়। ক্লিনিক্যাল এবং ফার্মাকোলজিকাল স্টাডিজে এই সুবর্ণপ্রাশনা থেরাপির ইমিউনোমোডুলেটরি, নোট্রপিকের পাশাপাশি থেরাপিউটিক প্রভাব দেখানো হয়েছে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, কোনও মানুষের শরীর মাটি, বায়ু, আগুন, জল এবং আকাশের মৌলিক উপাদান দিয়ে গঠিত। এবং তাঁর স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এই উপাদানগুলির অনুপাত শরীরের মধ্যে সমান হওয়া আবশ্যক। কিন্তু আমরা যে পরিবেশে, যেভাবে বসবাস করি, তাতে এই ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। জন্মের পরে শিশু দেহের সেই ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সুবর্ণপ্রাশন পদ্ধতির মাধ্যমে সেই সমস্যাকেই দূর করা হয়। আয়ুর্বেদাচার্যরা মনে করেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বৃদ্ধিবৃত্তিক এবং আধ্যাত্মিক সুস্থতা, এবং সর্বোত্তম থেরাপিউটিক প্রভাব পেতে এটি ক্রমাগত পরিচালনা করা উচিত।
কী ভাবে তৈরি হয় সুবর্ণপ্রাশন? আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কাশ্যপ সংহিতায় ঐতিহ্যগতভাবে বিশুদ্ধ সুবর্ণকে ঘষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পরে সুবর্ণ ভস্মের সমান অনুপাতে মধু এবং ঘৃত মিশিয়ে একটি সুক্ষ্ম কলয়েডাল সাসপেনশন তৈরি করা হয়। এই কম ডোজ ইমিউন রেসপন্স ট্রিগার করে যা একটি শিশুকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সর্বোপরি বিভিন্ন টক্সিন এবং অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধ শিশুদেহে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করে।
ঘৃত, ব্রাহ্মী (Bacopa Monnieri), মন্ডুকপর্নী (Centella Asiatica), যষ্টিমধু (Glycyrrhiza Glabra), শঙ্খপুষ্পী (Convolvulus Pluricaulis), ভাচা (Acorus Calamus) এবং গুরুচী (Tinospora Cordifolia)র মতো মেধ্য ও রসায়ন ভেষজ সাধারণত সুবর্ণবিন্দু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
তবে সুবর্ণপ্রাশনের নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি রয়েছে। যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে, তার উপকারিতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়। স্বনামধন্য আয়ুর্বেদাচার্য দেবব্রত সেন সুবর্ণপ্রাশন খালি পেটে প্রদানের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁর মতে —
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে, সুবর্ণপ্রাশনের উপকারিতা বহুমুখী। বিশেষত শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বৃদ্ধিতে বহুলাংশে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এক নজরে দেখে নিন সুবর্ণপ্রাশনের ঠিক কী কী উপকারিতা রয়েছে —
বিশদে জানতে ক্লিক করুন - www.drdebabratasen.com
ক্লিনিকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন এই নম্বরে 9830339339
এই প্রতিবেদনটি ‘আয়ুর্বেদাচার্য ডঃ দেবব্রত সেন’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy