পূর্ব ভারতের বৃহত্তম ‘ক্রিসমাস ট্রি’
উৎসবের মরসুমে ফের দৃষ্টি আকর্ষণ করল পার্ক স্ট্রিটের এপিজে হাউসের লনের বহুল প্রত্যাশিত ক্রিসমাস ট্রি। ৬০ ফুট লম্বা এবং ২০ ফুট চওড়া সেই ক্রিসমাস ট্রি-র চূড়ায় রয়েছে চার ফুটের একটি ঝলমলে তারা।
ভারতের প্রাচীনতম ব্যবসায়িক সংগঠন এপিজে, সুরেন্দ্র গ্রুপের অংশ। এ বছর কলকাতায় বড়দিন উদযাপনের এই সুন্দর মুহূর্তে এই ক্রিসমাস ট্রি-র মাধ্যমে এপিজে রিয়েল এস্টেট তাদের আর একটি মাইলফলক তৈরি করল। যা এখন কলকাতার বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু।
উৎসবের মরসুমে পার্ক স্ট্রিট এলাকা বরাবরই সবার নজর কাড়ে। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। প্রতি বছরের মতো এ বারও বড়দিন উপলক্ষে এপিজে রিয়েল এস্টেট কলকাতাবাসীর জন্যে এই অসাধারণ ক্রিসমাস ট্রি উপহার দিয়েছে। এটাই এখনও পর্যন্ত শহরের সবচেয়ে উঁচু ক্রিসমাস ট্রি। যা এপিজে হাউসের মুকুটে আর একটি নতুন পালক যোগ করেছে।
এপিজে রিয়েল এস্টেটের সিইও শৌভিক মণ্ডল বলেন, “আমাদের ক্রিসমাস ট্রি-র ঠিক পাশেই আমরা একটি ৬ ফুট লম্বা সান্তাক্লজের সঙ্গে স্লেজ গাড়ি এবং ৮ ফুট লম্বা একটি আকর্ষণীয় পরীও রেখেছি। সকলের প্রিয় সান্তাক্লজের সঙ্গে আছে ৩টি সোনার রাজকীয় বলগা হরিণ (রেন ডিয়ার)। ঐতিহ্যগত ভাবে আনন্দের মরসুমে পার্ক স্ট্রিট হল বড়দিন উদযাপনকারীদের জন্যে এক উপযুক্ত জায়গা। চৌরঙ্গী থেকে পার্ক স্ট্রিটে ঢোকার মুখেই এপিজে হাউসের অবস্থানের কারণে আনন্দের ক্রিসমাসের শুরু এখান থেকেই হয়।’’
ক্রিসমাস ট্রি-টি ৫০টি বড় এবং ১৫০টি ছোট তারা, ১০০টি বল, ৫০টি ঘণ্টা এবং ৫৫টি উপহারের বাক্স দিয়ে সাজানো। তাকে ঝলমলে আলোয় সাজাতে ৩০ হাজারের বেশি এলইডি ল্যাম্প এবং ৫টি এলইডি লাইট বল ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়াও, এপিজে হাউসের লনটিকে বড়দিন উপলক্ষে চমৎকার ভাবে সাজানো হয়েছে। বিল্ডিংয়ের বাইরের অংশকে ট্যানটালাইজিং লাইট দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। ৬০ ফুট লম্বা এই রাজকীয় ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করতে ১১ দিন ধরে একটানা কাজ করেছেন ২৩ জন কর্মী।
সিইও শৌভিক মণ্ডলের কথায়, “পার্ক স্ট্রিটে ক্রিসমাস উদযাপনের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত। আশা করি, আমাদের এই ক্রিসমাস ট্রি, এই বছরের বড়দিন উৎসবের আমেজকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। আমরা আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে মেরি ক্রিসমাস ২০২৩-এর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ এর পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “আমরা এই ক্রিসমাস ট্রি স্থাপনের জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি ও ছাড়পত্র নিয়েছি এবং যথাযথ নিরাপত্তা/সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নিয়েছি। বাংলা বহু সংস্কৃতির সংমিশ্রণে সমৃদ্ধ। কলকাতায় ক্রিসমাসের মরসুমে এই ধরনের একটি কাজ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy