Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Asian Paints

করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে দেশকে একজোট করতে নতুন উদ্যোগ নিল এশিয়ান পেইন্টস

করোনা আক্রমণের  এই ভয়াবহ সময়ে, দেশের মানুষের মনোবল কী ভাবে ফেরানো যায় তা নিয়ে ভাবছিলেন অনেকেই। আর সেই ভাবনাকে

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ১৩:২৮
Share: Save:

করোনা সন্ত্রাসে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে বিশ্ব। এমন মহামারী আগে কখনও দেখেনি মানুষ। এক অজানা, অচেনা, অদৃশ্য আতঙ্ক যেন বিশ্বকে সব দিক থেকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আর ভারতের মতো দেশে, যেখানে ১৩০ কোটির বেশি মানুষের বসবাস, সেখানে করোনার মতো এমন ভয়াবহ মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ ছিল না। যদিও প্রতিটি নাগরিকের অদম্য প্রচেষ্টায় এই ভাইরাসকে যথাসম্ভব প্রতিরোধ করে চলেছে ভারতে।

আর এই অস্থিতীশীল পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বহুজাতিক রং প্রস্তুতকারক সংস্থা — এশিয়ান পেইন্টস। সেই সঙ্গে করোনা যোদ্ধাদের কথা ভেবে তৈরি – জয়তু জয়তু ভারতম, বাসুদেব কুটুমবাক্কম - গানটির অন্যতম মুখ্য স্পনসরের ভূমিকা পালন করেছে এশিয়ান পেইন্টেস। গোটা দেশকে এক ছন্দে বাঁধতে ১৭ মে মুক্তি পেয়েছে এই গানটি। ইন্ডিয়ান সিঙ্গার রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্গত ২০০-র বেশি সঙ্গীতশিল্পীকে গলা মিলিয়েছেন এই গানটিতে।

করোনা আক্রমণের এই ভয়াবহ সময়ে, দেশের মানুষের মনোবল কী ভাবে ফেরানো যায় তা নিয়ে ভাবছিলেন অনেকেই। আর এই দুঃসময়ে মানুষকে একত্রিত করতে সেই ভাবনাকেই গানের রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন সোনু নিগম, শ্রীনিবাস এবং ইসরার সিইও সঞ্জয় টন্ডন। লকডাউনের কারণেই প্রত্যেক শিল্পী তাঁর নিজের বাড়ি থেকেই গানটি রেকর্ড করেছেন। এই ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিলেন সেই সমস্ত শিল্পীরা, যাঁদের বাড়িতে রেকর্ডিংয়ের কোনও সরঞ্জাম নেই। তবুও সমস্ত বাঁধা কাটিয়ে, শিল্পীরা একত্রিত হয়ে গানটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়েছেন। গানটি গাওয়া হয়েছে মোট ১৪টি ভাষায় ৷ যেগুলি হল সংস্কৃত, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লম, গুজরাতি, মারাঠি, বাংলা, পঞ্জাবি, অহমিয়া, রাজস্থানি, ভোজপুরি, সিন্ধি, ওড়িয়া এবং খাসি ভাষা ৷ শিল্পীদের তালিকায় রয়েছেন আশা ভোসলে, অলকা ইয়াগনিক, অনুপ জালোটা, হরিহরন, সোনু নিগম, কৈলাশ খের, কবিতা কৃষ্ণামূর্তি, কুমার শানু, শৈলেন্দ্র সিংহ, পঙ্কজ উদাস, উদিত নারায়ণের মতো দেশের আরও অনেক বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীরা ৷

সেই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় তৈরি প্রধানমন্ত্রীর আপাৎকালীন ফান্ডে মোট ৩৫ কোটি টাকা অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে এশিয়ান পেইন্টস। এই অর্থ কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের তৈরি স্টেট ফান্ডগুলিতেও বন্টন করা হবে।

কেউ জানে না কবে শেষ হবে এই করোনা আতঙ্ক। কবে কাটবে মৃত্যুভয়। লকডাউনের পরে কবে সাবলীল ভাবে বাইরে বের হতে পারবে মানুষ। আমাদের প্রত্যেককেই তৈরি থাকতে হবে দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য। আর সকলে মিলে হাতে হাত রেখে আমরা এই দুঃসময় ঠিক কাটিয়ে উঠতে পারব।

তত দিন সকলে বাড়িতে থাকুন। সুস্থ থাকুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE