কবি মাহবুবুল হক শাকিল।
চলে গেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী, কবি মাহবুবুল হক শাকিল।
ঢাকার গুলশানের জাপানি রেস্তোরাঁ ‘সামদাদো’য় তাঁর মৃত্যু হয় বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবির। শাকিলের বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর।
মঙ্গলবার শাকিলের মৃত্যু-সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ‘সামদাদো’ হোটেল-কর্তৃপক্ষ জানান, সোমবার রাতে মাহবুবুল হক শাকিল ওই হোটেলের একটি কক্ষে ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ হোটেলের কর্তারা ঘরে ঢুকে শাকিলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মাহবুবুল হক শাকিল
ওই রেস্তোরাঁয় ছুটে যান জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মহম্মদ জয়নুল আবেদিন, আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সহ বিশিষ্ট জনেরা।
পরে সরকারি ভাবে জানানো হয়, শাকিলের মরদেহ বারডেমের ঠাণ্ডা ঘরে রাখা হবে। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ‘জানাজা’ হবে। দুপুরে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে শাকিলের শহর ময়মনসিংহে। সেখানেই তাঁর বাড়িতে শাকিলকে দাফন করা হবে।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে নবগঠিত আওয়ামি লিগের তথ্য ও গবেষণা সেল-‘সিআরই’ পরিচালনার দায়িত্ব পান ছাত্র লিগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিল। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জিতে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্ব পান তিনি। চার বছর পর তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) করা হয়। এর পর ২০১৪ সাল থেকে অতিরিক্ত সচিব মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
শাকিলের কাব্যগ্রন্থ
শাকিলের জন্ম ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর, টাঙ্গাইলে। তাঁর বাবা অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামি লিগের সভাপতি। আইনজীবী-শিক্ষক দম্পতির সন্তান শাকিল ময়মনসিংহ জেলা স্কুল ও আনন্দমোহন কলেজে পড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। তিনি আইনজীবী স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গিয়েছেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা ছিলেন এক জন ভাল কবিও। তাঁর প্রকাশিত বই- ‘খেরোখাতার পাতা থেকে’ ও ‘মন খারাপের গাড়ি’ সাহিত্যানুরাগীদের কাছে ব্যপক সমাদৃত হয়েছিল।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করলেন রাষ্ট্রপতি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy