—ফাইল চিত্র।
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ঢাকায় পৌঁছেছেন রাখাইন অ্যাডভাইজারি কমিশনের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার রাতে মায়ানমারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান উইন ম্রা, রাষ্ট্রপুঞ্জ মহাসচিবের বিশেষ পরামর্শদাতা ঘাশান সালামে এবং রিলিজিয়াস ফর পিস ইন মায়ানমারের প্রতিষ্ঠাতা আই লিন ঢাকা পৌঁছান।
আরও পড়ুন
লক্ষ্য সুদূর পর্যন্ত, নতুন প্রজন্মকে দ্রুত তুলে আনতে চান হাসিনা
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রবিবার কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। মায়ানমার থেকে সেখানে আসা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তারা। এর পর আবার ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রতিনিধিরা।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়ার আগে রাখাইন কমিশনের তিন সদস্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস বা বিস) আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় যোগ দেবেন। আলোচনায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্বের ইস্যু অধিক গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবরে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের পর মায়ানমার থেকে আসা চার লাখের মতো রোহিঙ্গা এসেছেন বাংলাদেশে। এই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি মায়ানমার। তাঁদের নাগরিকত্বই অস্বীকার করে আসছে মায়ানমার।
জানা গেছে, মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর নোবেল বিজয়ী আফং সান সুকি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের সমস্যা এবং সমাধানের সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন গঠন করেন। যৌথ ভাবে এই কমিশন গঠনে যুক্ত হয়েছে কোফি আন্নান ফাউন্ডেশন। নয় সদস্য বিশিষ্ট গঠিত কমিশনের প্রধান রাষ্ট্রপুঞ্জের সাবেক মহাসচিব কোফি আন্নান। তবে কোফি আন্নান এই সফরে ঢাকায় আসেননি। নয় সদস্য বিশিষ্ট কমিশনে তিন জন বিদেশি এবং ছয় জন মায়ানমারের নাগরিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কমিশনের ব্যয় বেশির ভাগই বহন করছে মায়ানমার সরকার। কিছু ব্যয় আন্নান ফাউন্ডেশনও বহন করবে।
আরও পড়ুন
হাসিনাকে গ্রাম ঘুরিয়ে স্বপ্নের উড়ানে পথের ভ্যানচালক
বাংলাদেশ সফররত রাখাইন কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে একজন আন্তর্জাতিক সদস্য। অপর দু’জন মায়ানমারের নাগরিক।
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাখাইন কমিশন তাদের রিপোর্ট মায়ানমারের সরকারের কাছে পেশ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy